উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
সোমবার রাতে আরসিবি’র ১৬৪ রান তাড়া করতে গিয়ে একসময় সানরাইজার্সের রান ছিল ২ উইকেটে ১২১। কোহলির দলের ডান হাতি লেগ ব্রেক বোলার যুজবেন্দ্র চাহাল বিপক্ষের ভিত নাড়িয়ে দেন। ওয়ার্নারদের ১০ রানে হারের প্রধান কারণ মিডল অর্ডারের বিপর্যয়। অনভিজ্ঞ ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা চাপ নিতে ব্যর্থ। ১৯ বছর বয়সি প্রিয়ম গর্গ ডাগ আউটে ফেরেন মাত্র ১২ রান করে। তাঁর থেকে বছর খানেকের বড় অভিষেক শর্মার সংগ্রহ ৭ রান। তবে এই ব্যর্থতাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না সানরাইজার্স হায়দরবাদের ক্যাপ্টেন ডেভিড ওয়ার্নার। তাঁর বক্তব্য, ‘প্রিয়ম ও অভিষেকের ব্যাটিং দক্ষতা নিয়ে বিন্দুমাত্র সংশয় নেই। তাই ওদের মিডল অর্ডারে ব্যবহার করা হয়েছে। ম্যাচ হারার পর যে কেউ আমাদের ব্যাটিং ব্যর্থতা নিয়ে সমালোচনা করতেই পারেন। আমি তরুণ ক্রিকেটারদের পরিষ্কার বলেছি, স্নায়ুর চাপ ঝেড়ে ফেলে স্বাভাবিক খেলা মেলে ধর। কে কী বলল তাতে কান দিও না। আমাদের মতো সিনিয়র প্লেয়াররা তোমাদের গাইড করে যাব। এটাই শেখার জায়গা। কঠিন পরিস্থিতি আসতেই পারে। চাপ থাকতেই পারে। কিন্তু বিচলিত হবে না। মাথা ঠান্ডা রেখে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছনোই আসল।’
আরসিবি’র বিরুদ্ধে দুর্ভাগ্যজনক রান আউট হয়েছেন ওয়ার্নার। বেয়ারস্টোর ড্রাইভ ফলো থ্রুতে থাকা বোলার উমেশ যাদবের আঙুল ছুঁয়ে উইকেট ভেঙে দেয়। তখন নন স্ট্রাইকারে এন্ডে ক্রিজের বাইরে ছিলেন ওয়ার্নার। তিনি বলেন, ‘ম্যাচ জিততে গেলে মজবুত পার্টনারশিপ দরকার। আমাদের সেটাই গড়ে ওঠেনি। দ্রুত উইকেট পতনই খেলার গতিপথ বদলে দিয়েছে। মিডল ওভারে ক্রস ব্যাটে শট খেলতে গিয়ে আমরা ডুবেছি। এই সময় স্ট্রেট ব্যাটে শট খেলার দিকে ফোকাস করতে হয়।’
বিশেষজ্ঞদের একাংশের ধারণা, কেন উইলিয়ামসন ও মহম্মদ নবির না খেলাই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। এই প্রসঙ্গে ওয়ার্নারের মন্তব্য, ‘কেন উইলিয়ামসন পুরোপুরি ফিট নয়। আর মহম্মদ নবি আমাদের পরিকল্পনায় ছিল না।’ প্রথম ম্যাচে ফিল্ডিং আশানুরূপ না হওয়ার কারণ হিসেবে তিনি জানান, ‘এখানে বিশাল উচ্চতার আলোকস্তম্ভ রয়েছে। যা পুরো মাঠ ঘিরে রয়েছে। ফলে হাই ক্যাচ হলে বলের দিকে শেষ পর্যন্ত চোখ রাখা কঠিন। আরসিবি’র ডেল স্টেইন এই কারণেই বলের লাইন মিস করে ক্যাচ তালুবন্দি করতে পারেনি।’
দল হারলেও আরসিবি’র উদীয়মান ক্রিকেটার দেবদূত পাদিক্কালের ব্যাটিংয়ে মুগ্ধ ওয়ার্নার। কর্ণাটকের এই বাঁ হাতি ব্যাটসম্যানের ৪২ বলে ৫৬ রানের ইনিংস দেখার পর সানরাইজার্সের অধিনায়ক বলছেন, ‘ব্রিলিয়ান্ট প্লেয়ার! গত দু’বছর ধরেই ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো পারফরম্যান্স করছে। ভাবুন, টপ অর্ডারে কতটা প্রতিভাবান না হলে এমন ব্যাটিং করা যায়! ওর সঙ্গে ভবিষ্যতে ওপেন করার সুযোগ পেলে ভালো লাগবে। দেবদূতকে বলি, তুমি এভাবেই ক্রিকেটটা খেলে যাও। প্রশংসা প্রাপ্য যুজবেন্দ্র চাহালেরও। অসাধারণ বোলিং করেছে ও। চাপের মুখে কীভাবে সেরা পারফরম্যান্স মেলে ধরতে হয় তা চাহাল জানে।’