সম্পত্তিজনিত বিষয়ে অশান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা, আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি। শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম, কর্মক্ষেত্রে গোলযোগের ... বিশদ
বিশ্বকাপের পর থেকে মহেন্দ্র সিং ধোনিকে ছাড়াই এগিয়ে চলেছে ভারত। তাঁর জায়গায় নিয়মিত কিপার হিসেবে দলে সুযোগ পাচ্ছেন ঋষভ পন্থ। তাঁকেই ভবিষ্যতে ধোনির যথার্থ বিকল্প বলে ভাবছেন নির্বাচকরা। কিন্তু কিপিং কিংবা ব্যাটিংয়ে তাঁর পারফরম্যান্স প্রত্যাশার ধারেকাছেও পৌঁছায়নি। স্বভাবতই সমালোচনা পিছু ছাড়ছে না ঋষভের। বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-২০ সিরিজের প্রথম ম্যাচে রিভিউয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে অধিনায়ক রহিত শর্মাকে ভুল পরামর্শ দেওয়ার জন্য প্রবল সমালোচিত হয়েছেন তিনি। দ্বিতীয় ম্যাচেও নিয়মের অজ্ঞতায় স্টাম্পিংয়ের সহজ সুযোগ নষ্ট করে নিন্দা কুড়িয়েছেন ঋষভ। নাগপুরে সিরিজের শেষ টি-২০ ম্যাচে খেলতে নামার আগে এই প্রসঙ্গে রহিত শর্মা বলেন, ‘প্রত্যেক দিন, প্রত্যেক মিনিট ঋষভ পন্থকে নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। আমার মনে হয়, তাকে নিয়ে এত কথা না বলে, মাঠে তার কাজটা ঠিকমতো করতে দেওয়া উচিত। সবার কাছে আমার একান্ত অনুরোধ, কিছু সময়ের জন্য ঋষভের থেকে চোখ সরিয়ে রাখুন। যাতে ও চাপহীনভাবে নিজের স্বাভাবিক খেলা খেলতে পারে।’
ভারতীয় ক্রিকেটের হিটম্যান হিসেবে পরিচিত রহিত মনে করেন, ঋষভ একজন সাহসী ক্রিকেটার। তাকে তাই স্বাভাবিক খেলার স্বাধীনতা দেওয়া উচিত। তাতে ঋষভ এবং ভারতীয় দলেরই লাভ হবে। রহিত বলেন, ‘ঋষভের বয়স এখন বড়জোর ২১-২২ বছর। আন্তর্জাতিক মঞ্চে সে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। তবু মাঠে তার প্রতিটি পদক্ষেপ নিয়ে বড়বেশি সমালোচনা হচ্ছে। আমি মনে করি, এটা ওর প্রতি অবিচার। তাই আমার আবেদন, আপনারা ওকে নিয়ে পড়ে থাকবেন না। ঋষভ যে ক্রিকেটটা খেলতে চায়, তাকে সেটা খেলার সুযোগ করে দেওয়া উচিত। শুধুমাত্র খারাপটা নয়, ওর খেলার ভালো দিকগুলির দিকেও নজর রাখুন।’ ঋষভের পাশাপাশি শ্রেয়াস আয়ারকেও ভারতীয় ক্রিকেটের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ বলে মনে বর্ণনা করেছেন রহিত। একই সঙ্গে পেসার খলিল আহমেদের পিঠেও আস্থার হাত রেখেছেন অস্থায়ী ভারত অধিনায়ক। দলের তরুণদের উদ্দেশে রহিতের বার্তা, ‘মাঠে গিয়ে ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেল। চেষ্টা করো, নিজের খেলাটাকে উপভোগ করতে। শুধু পরিস্থিতিটা একটু মাথায় রেখো।’ রহিত জানান, তরুণ ক্রিকেটারদের ভয়হীন ক্রিকেট খেলার পূর্ণ স্বাধীনতাই টিম ম্যানেজমেন্ট দিয়ে রেখেছে।
চলতি টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ৪৩ বলে ৮৫ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়েছেন রহিত। বাংলাদেশের বিপক্ষে গত বছর শ্রীলঙ্কায় নিদাহাস ট্রফিতে তিনি খেলেছিলেন ৪২ বলে ৫৬ এবং ৬১ বলে ৮৯ রানের দুটি ইনিংস। তার আগে ২০১৬-র এশিয়া কাপের ম্যাচে টাইগারদের বিরুদ্ধে ৫৫ বলে ৮৩ রান করেছিলেন রহিত। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে দশটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে প্রায় দেড়শো স্ট্রাইক রেটে ৪৫০ রান করেছেন রহিত। যার মধ্যে রয়েছে পাঁচটি হাফ-সেঞ্চুরির ইনিংস। গড়ে ৪৫। বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ান ডে’তে আরও উজ্জ্বল তাঁর পারফরম্যান্স। এখনও পর্যন্ত ১৩টি একদিনের ম্যাচে ৩টি সেঞ্চুরি ও ২টি হাফ-সেঞ্চুরি সহ ৬৬০ রান করেছেন রহিত। গড় প্রায় ৬০।
বাংলাদেশের বিপক্ষে এমন ঈর্ষণীয় সাফল্যের রহস্য কী? মৃদু হেসে রহিতের হেঁয়ালিপূর্ণ জবাব, ‘রহস্যটি যদি খোলসা করে দিই, তাহলে তো প্রতিপক্ষ বোলাররা তা জেনে যাবে। আর সেইমতো পরিকল্পনা করে আমাকে আটকে দেবে। কাজেই আমি সেটা খোলসা করব না। তবে শুধু বাংলাদেশ নয়, সব দলের বিপক্ষেই আমি আমার ব্যাটিং উপভোগ করে থাকি। ক্রিকেট খেলার জন্যই আজ এখানে পৌঁছেছি। দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে পারাটা আমার কাছে অনেক বড় ব্যাপার। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে প্রতিটি মুহূর্ত আমি দারুণ উপভোগ করছি। আশা করি, ভবিষ্যতেও এভাবেই খেলে যেতে পারব।’