নতুন কোনও কর্ম পরিকল্পনায় সাফল্যের ইঙ্গিত। লটারি বা ফাটকায় প্রাপ্তি যোগ। খেলাধূলায় কৃতিত্ব। বাক্যে ও ... বিশদ
ঘরে-বাইরে প্রবল বিদ্রুপ, তির্যক মন্তব্যে বেশ চাপে পড়ে গিয়েছেন ঋষভ। ব্যাট হাতেও বড় রান পাচ্ছেন না। টেস্ট দলে তিনি ঋদ্ধিমান সাহার কাছে জায়গা হারিয়েছেন। সীমিত ওভারের সিরিজে মহেন্দ্র সিং ধোনি যতক্ষণ না ফিরছেন, ততক্ষণ হয়তো ঋষভ খেলে যাবেন। কিন্তু তাঁকে ঘিরে প্রত্যাশার যে পারদ চড়তে শুরু করেছিল, তা এখন অনেকটাই নিম্নগামী।
তবে কঠিন সময়ে ঋষভের পাশে দাঁড়ালেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক তথা বোর্ড সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি ও শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তি উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান কুমার সাঙ্গাকারা। শুক্রবার এক প্রশ্নের উত্তরে ঋষভকে নিয়ে সৌরভ বলেছেন, ‘ও খুবই ভালো খেলোয়াড়। বয়স অল্প। সময় দিলে ঋষভ তৈরি হয়ে যাবে।’ ভারতীয় ক্রিকেটের অভিভাবক হিসাবে সৌরভ যেন তরুণ ক্রিকেটারদের আগলে রাখার চেষ্টা করছেন। ভারতীয় দলে বহু নতুন তারকার উত্থান ঘটেছিল তাঁর নেতৃত্বকালে। সৌরভ বলেছেন, ‘২১ বছর বয়সে একটা ছেলেকে বিপুল চাপ নিয়ে খেলতে হচ্ছে। ভুলভ্রান্তি হওয়াই স্বাভাবিক। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কেরিয়ারের শুরুতে সবাই চাপে থাকে। সময়ের সঙ্গেসঙ্গে সব কিছু ঠিক হয়ে যায়। ঋষভের ক্ষেত্রেও সেটাই হবে। ও অনেক বড় ক্রিকেটার হয়ে উঠবে।’
বিশ্বের অন্যতম সেরা শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন উইকেটরক্ষক কুমার সাঙ্গাকারা বলেছেন, ‘চাপের মুখে মাথা ঠান্ডা রাখা উচিত ঋষভের। সব কিছু সহজভাবে নিতে হবে। খুঁজে বের করতে হবে দুর্বলতাগুলি। তা কাটিয়ে ওঠার জন্য পরিকল্পনা করে ওকে এগতে হবে। ব্যাট রানে পেলে ওর চাপ কমত। কিন্তু ঋষভ বড় রান পাচ্ছে না। তার প্রভাব পড়ছে উইকেটকিপিংয়ে। আমি বলব, ঋষভকে ব্যাটিং নিয়ে পরামর্শ দেওয়ার জন্য কারও এগিয়ে আসা উচিত। টিম ম্যানেজমেন্টের উচিত ওকে চাপমুক্ত হয়ে খেলতে দেওয়া।’
সিরিজে ০-১ ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচ খেলতে নেমেছিল ‘টিম ইন্ডিয়া’। অতীতে কখনও টি-২০ সিরিজ বাংলাদেশের কাছে হারেনি ভারত। তাই প্রবল চাপ নিয়েই মাঠে নামতে হয়েছিল রহিত শর্মাদের। কিন্তু দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে ভারতীয় ক্রিকেটাররা সব সময় সেরাটা মেলে ধরে লড়াইয়ে ফিরে আসার চেষ্টা করেন। তার প্রমাণ মিলেছে রাজকোটে। দুরন্ত বোলিং উপহার দেন স্পিনার যুজবেন্দ্র চাহাল, ওয়াশিংটন সুন্দর। তার জেরে বাংলাদেশকে ১৫৩/৬ রানে আটকে রাখতে সক্ষম হয়েছিল ‘টিম ইন্ডিয়া’। তারপর ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালান রহিত। ৪৩ বলে তিনি করেন ৮৫ রান। যার সুবাদে ভারত ৮ উইকেটে জিতে সিরিজে সমতা ফেরায়। রবিবার নাগপুরে নির্ণায়ক ম্যাচে ফের মুখোমুখি হবে দুই দল। রাজকোটে প্রথম সুযোগ হাতছাড়া হলেও, মাহমুদুল্লাহদের সামনে এখনও সিরিজ জিতে ইতিহাস গড়ার হাতছানি। তবে ভারত যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে, তাতে বাংলাদেশকে হয়তো এবারও আপসোস করতে হবে। রহিত বড় রান পেতেই বদলে গিয়েছে ‘টিম ইন্ডিয়া’র ব্যাটিংয়ের চেহারা। শিখর ধাওয়ানও রানের মধ্যে আছেন। লোকেশ রাহুল, শ্রেয়াস আয়ার, ঋষভ পন্থরা প্রথম ম্যাচের ভুলের পুনরাবৃত্তি না ঘটালে ‘স্ট্যান্ড ইন ক্যাপ্টেন’ হিসাবে রহিত আরও একটি সিরিজ উপহার দিতেই পারেন ভারতীয় সমর্থকদের।