কর্মরতদের সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা ও ব্যবহারে সংযত থাকা দরকার। ... বিশদ
বিধাননগর কমিশনারেটের নীচু তলার পুলিসকর্মীরা এদিন সকাল থেকেই উর্ধ্বতন পুলিসকর্মীদের কাছে বারবার জিজ্ঞাসা করতে থাকেন, স্যার টিকিট কখন আসবে? একটা টিকিট অন্তত দেবেন? কিন্তু কমিশনারেটের বেশ কয়েকজন পুলিসকর্তা নীচুতলার পুলিসকর্মীদের স্পষ্ট জানিয়ে দেন, এই ম্যাচের টিকিট পাওয়া বেশ কষ্টকর। এরপরেই বহু পুলিসকর্মীই এদিন সল্টলেক স্টেডিয়ামের ৪ নং গেটের কাছে থাকা টিকিট কাউন্টারে খোঁজখবর করতে থাকেন। কিন্তু নিরাশই হতে হয় তাঁদের। দুপুরে কমিশনারেটের উচ্চপদস্থ কর্তাদের ঘরের বাইরে পুলিসকর্মীদের ভিড় বাড়তে থাকে। প্রত্যেকের দাবি, ফাইল দেখাতে এসেছেন কিংবা ফাইলে স্বাক্ষর করাতে এসেছেন। কিন্তু কর্তাদের ঘরে ঢুকে একটাই কথা, ‘স্যার প্লিজ একটা টিকিট হবে ?
বিকেল গড়ালে এই ভিড় আরও বাড়তে শুরু করে। বিকেল চারটে নাগাদ কমিশনারেটে এক শীর্ষ পদস্থ পুলিসকর্তার ঘরের বাইরে দু’জনকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে সিকিউরিটি ভারি গলায় জিজ্ঞাসা করেন, কার সঙ্গে দেখা করবেন? কমিশনারেটের আরেক শীর্ষ কর্তার নাম করে বলেন, টিকিটের জন্য তাঁর অফিস থেকে এসেছেন। সন্ধ্যা পর্যন্ত এভাবেই কমিশনারেটের আনাচেকানাচে টিকিটের জন্য হাহাকার দেখা গিয়েছে বহু সাধারণ মানুষ থেকে পুলিসকর্মীদের মধ্যে। তবে শুধুমাত্র কমিশনারেট নয়, সল্টলেকের বহু সরকারি অফিসেই এই চিত্র দেখা গিয়েছে। বিধাননগর পুরসভাতেই বিভিন্ন জনের কাছে এভাবেই টিকিটের চাহিদা করতে দেখা যায় পরিচিতদের। সল্টলেকের একটি সরকারি দপ্তরে কর্মরত এক বড় অফিসারকেও এদিন টিকিটের চাহিদার মুখে পড়তে হয়। অফিস ছুটি থাকলেও জরুরি পরিষেবার কিছু কাজে তাঁকে অফিসে আসতে হয়েছে। আচমকাই দুপুরে ফোন করে একজন বলেন, ‘স্যার কেমন আছেন?’ প্রথমে ওই অফিসারের চিনতে একটু অসুবিধা হলেও, পরে বুঝতে পারেন তাঁর পূর্বতন অফিসের একজন কর্মী ফোন করেছেন। কী দরকার জিজ্ঞাসা করতেই, ফোনের উল্টোদিক থেকে মৃদু স্বরে ভেসে আসে, ‘স্যার কালকের ম্যাচের একটা টিকিট হবে?’