দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় থেকে অর্থাগম ও পুনঃ সঞ্চয়। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি বা নতুন কর্ম লাভের সম্ভাবনা। মন ... বিশদ
সেবা ভারতী মহাবিদ্যালয়ে ২০২৩ সালে ‘নেচার ক্লাব’ এবং ‘এনভায়রনমেন্ট ম্যানেজমেন্ট’ গড়ে তোলা হয়। নেচার ক্লাবের উদ্যোগে গাছ নিয়ে গবেষণাধর্মী কাজ শুরু হয়। এআই প্রযুক্তিকে গবেষণার কাজে ব্যবহার করা হয়। ক্যাম্পাসে থাকা সেগুন, ছাতিম, আম, রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া, নিম, শিশু সহ নানা প্রজাতির গাছ আছে। গত দু’ বছর ধরে গাছগুলোর উচ্চতা, কাণ্ডের পরিধি, শাখাপ্রশাখার বিস্তার নিয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হয়। প্রতিটি গাছের কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ ও বাতাসে অক্সিজেন ছাড়ার তথ্য লিপিবদ্ধ করা হয়। তথ্যে উঠে আসে— একটি মেহগনি গাছ ৭৩ হাজার ৪২২ কেজি, একটি রাধাচূড়া গাছ ৮৫ হাজার ৬৫৭ কেজি, একটি সেগুন গাছ ৭৩ হাজার ৪০০ কেজি, একটি ছাতিম গাছ ৯৭ হাজার ৮৯৪ কেজি, একটি শিশু গাছ ৭৩ হাজার ৪২০ কেজি, একটি বকুল গাছ ৩৪ হাজার ৩১৫ কেজি কার্বন ডাই অক্সাইড বায়ুমণ্ডল থেকে শোষণ করেছে। সেই সঙ্গে গাছগুলি সমপরিমাণ অক্সিজেন বায়ুমণ্ডলে সরবরাহ করেছে। বাস্ততান্ত্রিক পরিবেশ রক্ষায় গাছেদের অবদান জানা যাচ্ছে সহজেই। নেচার ক্লাবের এক সদস্য বলেন, কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্যে গবেষণামূলক এই পরীক্ষা সফল হয়েছে। এবার ঝাড়গ্রাম শহরের বৃহৎ কিছু গাছকে গবেষণার আওতায় আনা হবে। শহরবাসী সহজে জানতে পারবেন, আশপাশে থাকা বৃহৎ গাছগুলো কীভাবে অবদান রাখছে। গাছের কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ ও অক্সিজেন ছাড়ার তথ্য প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়া হবে। রাস্তা, আবাসন বা উন্নয়নমূলক কাজের আগে বড় গাছ না কেটে প্রশাসন আগাম পরিকল্পনা নিতে পারবে। বন্যপ্রাণী ও পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনে যুক্ত জেলার বাসিন্দা শ্যামসুন্দর মাহাত বলেন, ঝাড়গ্রাম জেলার শহর এলাকায় বড় বড় গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে। পরিবেশ রক্ষায় গাছগুলির অবদান সম্পর্কে আমরা এখনও সেভাবে সচেতন নই। এই গবেষণার সাফল্য নির্বিচারে গাছকাটা রোধ করবে বলেই মনে করছি। পরিবেশ রক্ষা নিয়ে মানুষের সচেতনতা আরও বাড়বে। ভূগোল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান তথা নেচার ক্লাবের কো- অর্ডিনেটর প্রণব সাহু বলেন, 'সংগৃহীত তথ্যকে এআই প্রযুক্তির সাহায্যে নির্দিষ্ট কিউআর কোড তৈরি করা হয়েছে। কিউআর কোড সম্বলিত বোর্ড কলেজ ক্যাম্পাসের গাছে লাগানো হয়েছে। মোবাইলে কিউআর কোডে স্ক্যান করলেই প্রতিটি গাছের কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ ও অক্সিজেন ছাড়ার তথ্য ফুটে উঠছে। ঝাড়গ্রাম পুরসভার চেয়ারম্যান কবিতা ঘোষ বলেন, ঝাড়গ্রাম শহরে বড় গাছ যাতে না কাটা হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা হয়। শহরকে আরও সবুজ করে তোলার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। শহরে গাছের সংখ্যা বাড়াতে যারাই এগিয়ে আসবেন পুরসভা তাদের সহযোগিতা করবে।-নিজস্ব চিত্র