দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় থেকে অর্থাগম ও পুনঃ সঞ্চয়। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি বা নতুন কর্ম লাভের সম্ভাবনা। মন ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিদ্যালয়ের তালা খোলা থেকে, সাফাইয়ের কাজ হোক কিংবা অন্যান্য সব কাজই করতে হয় ওই একজন শিক্ষককেই। নেই কোনও শিক্ষাকর্মী। পঠনপাঠন লাটে উঠেছে ওই বিদ্যালয়ে। জানা গিয়েছে, ২০১১ সালে বান্দোয়ানের আদিবাসী অধ্যুষিত প্রত্যন্ত এলাকায় ওই বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা হয়। দোতালা নীল সাদা ঝকঝকে স্কুল ভবন নির্মাণ হয়। ২০১৩ সালে ওই স্কুলে নিয়োগ হন একজন শিক্ষক। তারপর আর কোনও শিক্ষক নিয়োগ হননি ওই স্কুলে। শিক্ষাকর্মী আজও নিয়োগ হয়নি। স্কুলে সীমানা প্রাচীরও নেই। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রথম দিকে এলাকার ছেলেমেয়েরা এই বিদ্যালয়ে ভর্তি হলেও শিক্ষকের অভাব থাকায় অভিভাবকেরা নতুন করে ছেলেমেয়েদের ওই স্কুলে ভর্তি করাতে চাইছেন না। ফলে পড়ুয়াদের সংখ্যাটা কমতে কমতে মাত্র ৬ জনে এসে দাঁড়িয়েছে । মাঝে মাঝে স্কুলে ছেলেমেয়েরা অনুপস্থিত থাকলে বিদ্যালয়ে এসে একাই বসেই দিন কাটান ওই শিক্ষক। ৬ জন পড়ুয়ার জন্য বিদ্যালয়ে মিড ডে মিল আলাদাভাবে রান্না হয় না। পাশের উদলবনী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড ডে মিলের রান্না খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা হয় ওই পড়ুয়াদের। বাইরে থেকে দেখতে ঝাঁ চকচকে দোতলা ভবন হলেও, পর্যাপ্ত শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী না থাকায় পঠনপাঠন লাটে উঠেছে ওই বিদ্যালয়ে। বিষয়টি নিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষক পার্থপ্রতিম মহান্তি বলেন, ২০১৩ সালে স্কুলে কাজে যোগ দিয়েছি। তখন থেকে একাই স্কুলে রয়েছি। আগে ১১ জন পড়ুয়া থাকলেও সংখ্যাটা এবার ৬ জন এসে দাঁড়িয়েছে। নতুন করে কেউ আর স্কুলে ভর্তি হতে চাইছে না। দূরের হাইস্কুলে চলে যাচ্ছে। গোটা বিষয়টি আগেই জেলার শিক্ষাদপ্তরে জানানো হয়েছে। দপ্তর থেকেও অনেকবার রিপোর্ট নিয়েছে। কিছু স্কুলে নতুন নিয়োগ হলেও এখনও পর্যন্ত উদলবনী হাইস্কুলে নতুন কেউ নিয়োগ হননি। নতুন নিয়োগ না হলে স্কুলের হাল ফেরানো সমস্যার। তিনি আরও বলেন, স্কুলের সমস্ত কাজ একা হাতেই করতে হয়। ছুটি নিলে স্কুল বন্ধ হয়ে যায়। তাই ছুটি নেওয়ারও সমস্যা হয়। জেলা স্কুল শিক্ষা পরিদর্শকের কাছে আবেদন জানালেও সমাধান হয়নি বলে অভিযোগ। শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগ হলে বিদ্যালয়ের হাল ফিরবে বলে আশা ওই শিক্ষকের।
এ বিষয়ে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) মহুয়া বসাক বলেন, শুধুমাত্র উদলবনী জুনিয়র হাইস্কুল নয়, শিক্ষকের অভাব বেশ কয়েকটি বিদ্যালয়েই রয়েছে। তিনি বলেন, নতুন করে শিক্ষক নিয়োগ না হওয়ায় এই সমস্যা রয়েছে। তবে আবেদন করলে আমরা অতিথি শিক্ষকের ব্যবস্থা করতে পারি।