দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় থেকে অর্থাগম ও পুনঃ সঞ্চয়। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি বা নতুন কর্ম লাভের সম্ভাবনা। মন ... বিশদ
উল্লেখ্য, দু’সপ্তাহ আগেও রাজ্যের বিধানসভায় ভুয়ো ভোটার নিয়ে নজরদারি বাড়ানোর কথা মুখ্যমন্ত্রী বিধায়কদের জানিয়েছিলেন। তারপর থেকেই মুর্শিদাবাদের বহরমপুর সাংগঠনিক জেলায় প্রতিটি ব্লক ও টাউন এলাকায় নতুন ভোটার কার্ডের তালিকা তুলতে শুরু করেন জনপ্রতিনিধিরা। সেই তালিকা ধরে এবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্ক্রুটিনির কাজ শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে।
বহরমপুর মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি অপূর্ব সরকার এদিন নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকে বেরিয়ে বলেন, ইতিমধ্যে ভুয়ো ভোটার ধরতে আমরা কাজ শুরু করেছি। দু’সপ্তাহ আগে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী যখন বলেছিলেন, তারপরই নেতাদের প্রতিটি এলাকা থেকে নতুন ভোটার তালিকা সংগ্রহ করতে বলা হয়েছিল। জানুয়ারি মাসে নতুন ভোটার লিস্ট হয়েছে। সেই লিস্ট স্ক্রুটিনি করা হচ্ছে। প্রতিটি বুথের কর্মীরা ভোটারদের বাড়ি বাড়ি যাবেন। কেউ বাইরে কাজে থাকলে সেটাও তাঁরা খতিয়ে দেখবেন। নতুন ভোটারের জন্য বিডিও অফিসে অনলাইনে আবেদন করলেই হবে না। আদৌ সেই ভোটার আছে কি না, ফিজিক্যাল ভেরিফিকেশন করে নতুন কার্ড ইস্যু করা উচিত। সেটা যাতে করা হয় আমি জেলাশাসক এবং বিডিওদের ব্যক্তিগতভাবে চিঠি দিয়ে জানিয়েছি। পুরনো তালিকায় থাকা ভোটারদের পাশাপাশি নতুন ভোটারদের উপরেও আমাদের নজর রয়েছে। তবে বিজেপি এরাজ্যে ভুয়ো ভোটার এনেও সুবিধা করতে পারবে না।
বহরমপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি শাখারভ সরকার বলেন, আমাদের তো খেয়ে দেয়ে কাজ নেই। এসব করে ভোটে জিততে হবে? এই জেলায় আমাদের সংগঠন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমাদের ভুয়ো ভোটার দরকার হয় না। ভুয়ো ভোটার সব থেকে বেশি দরকার হয় তৃণমূলের। ওই ভোটার কার্ড নিয়েই তারা ভোটের দিন কারচুপি করে। ভুয়ো ভোটার কার্ড কাণ্ডে সমস্যায় পড়েন রানিনগরের গোলাম সাহেব। এদিন তিনি বলেন, চারদিকে ভুয়ো ভোটার, ভূতুড়ে ভোটারের খবর প্রকাশিত হওয়ার পর ভীষণ আতঙ্কে ছিলাম। সবসময় একটা ভয় কাজ করত। মনে হতো, ভুয়ো ভোটার সন্দেহে আমারও বিপদ আসতে পারে। মুখ্যমন্ত্রী এদিন আমাদের এই সমস্যার বিষয়টি নিজের মুখে তুলে ধরলেন। মুখ্যমন্ত্রীর উপর আমাদের ভরসা আছে। আশা করি, এবার আমার কার্ডের সমস্যার সমাধান হবে। কিছুটা চাপমুক্ত মনে হচ্ছে।