কর্মে অগ্রগতি হবে। চাকরিজীবীদের পদোন্নতি ও বদলির যোগ আছে। সৎজন সান্নিধ্যে মানসিক আনন্দ। ... বিশদ
পুলিস জানিয়ে সৌরভ দে নামে ওই জামাই ছিনাতাইকারী চক্রের সঙ্গে যুক্ত। বেশ কিছুদিন ধরেই বিষ্ণুপুর ও সংলগ্ন এলাকায় প্রাতঃভ্রমণকারীদের হার ছিনাতাইয়ের ঘটনা ঘটছিল। এইরকম একটি ঘটনার তদন্তে নেমে সেকেন্দর শেখ নামে এক দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করে পুলিস। তাকে জেরা করে সৌরভের নাম উঠে আসে। রবিবার রাতে হিড়বাঁধে শ্বশুরবাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করল সোনামুখী থানার পুলিস। সৌরভের বাড়ি বড়জোড়ার পখন্না এলাকার তাজপুরে। সে সোনা রুপোর কারবার করে। বিষ্ণুপুর ও সোনামুখী এলাকায় চোরাই সোনার গহনা ছিনতাইকারীরা তার কাছে বিক্রি করে। সোনামুখীতে বৃহস্পতিবার হার ছিনতাইয়ের অভিযোগে সেকেন্দার ধরা পড়ে। সেই সৌরভের নাম জানিয়ে দেয় পুলিসকে। যসৌরভের খোঁজে পুলিস প্রথমে তার বাড়ি তাজপুরে যায়। সেখানে না তার শ্বশুরবাড়িতে অভিযান চালানো হয়। সোমবার বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে অভিযুক্তকে তোলা হলে বিচারক ৫ দিন পুলিস হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। পুলিস জানিয়েছে, দুষ্কৃতীদের কাছ থেকে ছিনতাই হওয়া যাবতীয় গয়না কিনত সৌরভ। তাকে জেরা করে ঘটনায় জড়িত অন্যান্যদের ধরা হবে।
বিষ্ণুপুর শহর ও আশেপাশের এলাকায় বেশ কিছুদিন ধরে প্রাতঃভ্রমণকারীদের হার ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছিল। দুষ্কৃতীদের মূল টার্গেট ছিল মহিলারা। খুব ভোরে রাস্তাঘাট সাধারণত ফাঁকা থাকে। এই সুযোগটাকে কাজে লাগায় ছিনতাইবাজরা। তারা বাইকে এসে রাস্তায় ঘাপটি মেরে নজরদারি চালায়। যার গলায় সোনার হার রয়েছে, তাঁর পিছু নেয়। প্রতিটি দলে দু’জন করে থাকে। একজন চালক এবং অন্যজন পিছনে বসে থাকে। বাইকে করে পিছন দিক থেকে এসে গলা থেকে হার ছিঁড়ে নিয়ে দ্রুত বেগে এলাকা ছাড়ে। সোনামুখীতেও একই কায়দায় প্রাতঃভ্রমণকারী এক বৃদ্ধার গলা থেকে ১০ গ্রাম ওজনের হার ছিনতাই হয়। পুলিস ঘটনার তদন্তে নেমে বৃহস্পতিবার রাতে সোনামুখী থানার অন্তর্গত রুপপাল গ্রাম থেকে সেকেন্দরকে গ্রেপ্তার করে পুলিস। তবে চোরাই গয়না কোথায় সে বিক্রি করেছে, জানতে চাইলে সৌরভ দে’র নাম বলে দেয়। সেই মতো তাকে তার শ্বশুরবাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিষ্ণুপুর শহরেও একাধিক ছিনতাই হওয়া হার সৌরভের কাছে বিক্রি করা হয়েছে কিনা, সেই তথ্য জানতে বিষ্ণুপুর থানার পুলিসও তাকে নিজেদের হেফাজতে নেবে।
পখন্না এলাকার বাসিন্দারা বলেন, ছোট খাটো সোনা রুপোর কারবার করলেও প্রত্যন্ত গ্রামে সেভাবে ব্যবসা চলছিল না। কিন্তু ইদানীং সৌরভের চালচলন বদলে গিয়েছিল। রাতের দিকে ওর বাড়িতে বহিরাগতদের যাতায়াত বাড়ছিল। ক্রমশ ওর আচরণও সন্দেহজনক ঠেকছিল।