কর্মে অগ্রগতি হবে। চাকরিজীবীদের পদোন্নতি ও বদলির যোগ আছে। সৎজন সান্নিধ্যে মানসিক আনন্দ। ... বিশদ
তবে শহরের বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, প্রশাসন সঠিক পদক্ষেপ নিয়েছে। জবরদখলকারীদের দৌরাত্ম্যে পুরনো শহর ঐতিহ্য হারিয়ে ফেলেছিল। জেলাখানা মোড়ের ফুটপাত অনেক আগেই জবরদখলকারীদের দখলে চলে গিয়েছে। বিসি রোড, খোসবাগান, বাবুরবাগ, গোলাপবাগ এলাকাতেও একই অবস্থা। ফুটপাত দিয়ে চলাই দায়। প্রশাসন পদক্ষেপ না নিলে শহরের রাস্তায় চলাচল করাই দায় হয়ে উঠবে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকাগুলিতেও অভিযান চলবে। মাইকিং করে জবরদখলকারীদের সতর্ক করা হচ্ছে। নিজে থেকে দোকান সরিয়ে না নিলে প্রশাসন ভেঙে দেবে।
পুরসভার চেয়ারম্যান পরেশ সরকার বলেন, কোনও জায়গায় হকারদের দোকান দেওয়া যায় কিনা তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে। এক আধিকারিক বলেন, সরকারি জায়গা জবরদখল করে দীর্ঘদিন ব্যবসা করা যায় না। অনেকেই প্রথমে ছোট দোকান করেছিলেন। পরে তাঁরা আস্তে আস্তে ফুটপাতের অনেকাংশ দখল করেন। বাবুরবাগ এলাকায়ও সম্প্রতি বেশকিছু দোকান গজিয়ে উঠেছে। আগামী দিনে সমস্ত অবৈধ দোকান ধীরেধীরে ভেঙে ফেলা হবে। হকার সৈয়দ ইন্তিয়াজ আলি বলেন, আমাদের আরও কিছুদিন সময় দিতে পারত। হঠাৎ করেই দোকান ভেঙে দেওয়া হল। এখন আমরা যাব কোথায়? আর এক হকার বলেন, দোকান ভাঙার আগে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা উচিত ছিল। তাছাড়া দোকান তৈরির সময় বাধা দিতে পারত। সেটা করা হয়নি। অবৈধভাবে দোকান বসানোর পিছনে অনেক নেতার ভূমিকা রয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধেও প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে হবে।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরের বিভিন্ন এলাকায় কয়েকদিন ধরেই মাইকে অবৈধ নির্মাণ ভাঙার বিষয়ে প্রচার করা হচ্ছে। জেলখানা মোড় এলাকার জবরদখলকারীদেরও আগে সতর্ক করা হয়েছিল। তাঁরা নিজে থেকে না সরায় দোকানগুলি ভাঙা হয়। পূর্ব বর্ধমানের পুলিস সুপার আমনদীপ বলেন, কেউ গণ্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।