কর্মে অগ্রগতি হবে। চাকরিজীবীদের পদোন্নতি ও বদলির যোগ আছে। সৎজন সান্নিধ্যে মানসিক আনন্দ। ... বিশদ
পুলিস জানতে পেরেছে, খুনের পরিকল্পনা করেই রবিবার দুপুরে সে বউমাকে বাদামতলার হোটেলে নিয়ে আসে। বউমাকে হয়তো এমনভাবে বুঝিয়েছিল যাতে তিনি ভেবেছিলেন, ভাশুর অন্য সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছে। ভাশুরের কথায় বিশ্বাস করে আগের মতোই সেই হোটেলে সময় কাটাতে এসেছিলেন। ওই বধূ। হোটেলে একসঙ্গে থাকার পর বউমাকে আচমকাই শ্বাসরোধ করে মারে ভাশুর। তদন্তে নেমে পুলিস এমনটাই জানতে পেরেছে। পূর্ব বর্ধমানের পুলিস সুপার আমনদীপ বলেন, অভিযুক্ত যুবক এলাকা থেকে চম্পট দিয়েছে। তার খোঁজে তল্লাশি চলছে। খুব তাড়াতাড়ি সে গ্রেপ্তার হবে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বধূর স্বামী অনেকদিন আগেই মারা গিয়েছেন। তবে ভাইয়ের মৃত্যুর আগে থেকেই বউমার সঙ্গে ভাশুরের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। ভাইয়ের মৃত্যুর পর আর কোনও বাধাই ছিল না। অনেক জায়গায় তারা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দিত। হোটেলের এক কর্মী বলেন, বর্ধমান শহরে বিভিন্ন কাজে প্রচুর লোক আসে। ফ্রেস হওয়ার কথা বলে অনেকেই ঘণ্টা খানেকের জন্য হোটেল ভাড়া নেন। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তাঁরা চলে যান। রবিবার দুপুরে ওই যুবক হোটেল থেকে বেরলেও বধূ রুমেই ছিলেন। তিনি কিছুক্ষণ পর ফ্রেশ হয়ে বেরবেন বলে হোটেল কর্মীদের অভিযুক্ত জানিয়েছিল। কিন্তু অনেকক্ষণ পরেও বধূ রুম থেকে না বেরনোয় কর্মীদের সন্দেহ হয়। তাঁরা ঘরের কাছে গিয়ে দেখেন, দরজা বাইরে থেকে লাগানো রয়েছে। বধূর মৃতদেহ বিছানার উপর পড়ে রয়েছে। ওড়না জাতীয় কিছু দিয়ে তাঁর শ্বাসরোধ করা হয় বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিসের অনুমান।
এক পুলিস আধিকারিক বলেন, ভাশুর ও ভাইয়ের স্ত্রীর সম্পর্কের কথা এলাকার অনেকেই জানতেন। তাদের একসঙ্গে হামেশাই ঘুরে বেড়াতে দেখা গিয়েছে। তবে, বেশ কিছুদিন ধরেই তাদের মধ্যে তিক্ততা বাড়তে থাকে। ভাশুর অবিবাহিত। তাই ভাই মারা যাওয়ার পর সে বউমাকে বিয়ে করার আশ্বাসও দিয়েছিল। কিন্তু পরে তার জীবনে অন্য এক মহিলা চলে আসায় সে বেঁকে বসে। সেটা বউমা মানতে পারেননি। প্রতিবাদ করেন। সেকারণেই সম্ভবত ‘পথের কাঁটা’ করাতে বউমাকে খুন করেছে। অভিযুক্ত ধরা পড়লে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হবে।