কর্মে অগ্রগতি হবে। চাকরিজীবীদের পদোন্নতি ও বদলির যোগ আছে। সৎজন সান্নিধ্যে মানসিক আনন্দ। ... বিশদ
এদিন মূলত মহকুমা হাসপাতাল সংলগ্ন ছোটট্যাংরা এলাকায় অভিযান চলে। তবে এদিন কোনও দখল সরানো হয়নি। কিছু স্থায়ী ব্যবসায়ীকে অতিরিক্ত অংশ সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে। ফুটপাত, নর্দমা ও রাস্তা দখল করে গড়ে ওঠা ব্যবসায়ীদের তালিকা তৈরি করা হয়। তাঁদেরও রাস্তা খালি করে দিতে বলা হয়। প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেওয়ার পর খড়্গপুর পুরসভা এদিনই প্রথম অভিযানে নামে।
হাসপাতালের প্রবেশপথের কাছে যেভাবে দখল হয়ে গিয়েছে, তাতে যাতায়াতে দুর্ভোগে পড়তে হয়। বর্ষায় নর্দমার জল হাসপাতাল চত্বরে ঢুকে যায়। রাস্তা ও নর্দমা দখল করে যেমন ঝুপড়ি দোকান গড়ে উঠেছে, তেমনই অনেক স্থায়ী ব্যবসায়ীও সরকারি জায়গা দখল করে রেখেছেন। এদিন একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার সহ কয়েকজনকে বাড়তি অংশ সরিয়ে নিতে বলা হয়। এতদিন অবশ্য সমস্যা সমাধানে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী সরব হতে টনক নড়েছে পুরসভার। তবে অন্যান্য শহরে যেভাবে দখলমুক্ত অভিযান করা হচ্ছে, সেই পথে হাঁটতে নারাজ খড়্গপুর পুরসভা।চেয়ারপার্সন বলেন, নর্দমা, রাস্তা ও ফুটপাত দখল করে গড়ে ওঠা ব্যবসায়ীদের নর্দমার ওপারে যেটুকু জায়গা আছে, সেখানে ব্যবসা করতে বলা হয়েছে। তাহলে আর কোনও সমস্যা থাকবে না। রাস্তা দখলমুক্ত হয়ে যাবে। তিনি বলেন, আমরা এই সব দোকানের তালিকা তৈরি করেছি। তাঁদের যোগাযোগ নম্বর নিয়ে আসা হয়েছে। পাশাপাশি সরে যেতেও বলা হয়েছে। পনেরো দিন পরে তাঁদের ডেকে ফের সরে যাওয়ার কথা বলা হবে। একই সঙ্গে হকার জোন তৈরির জন্য জমি খোঁজার কাজও শুরু করা হয়েছে। যেসব স্থায়ী দোকানদার সরকারি জায়গা দখল করে কাঠামো তৈরি করেছে, তাঁদের চিঠি দেওয়া হবে। যে অংশের জন্য ব্যবসার লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে, তার বাইরে কোনও দখল রাখা যাবে না। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তাঁরা যদি সেই সব কাঠামো সরিয়ে না নেন, তাহলে পুরসভার পক্ষ থেকে তা সরিয়ে দেওয়া হবে। খড়্গপুর পুরসভার তরফে ফুটপাত দখলমুক্ত অভিযান।-নিজস্ব চিত্র