কর্মে অগ্রগতি হবে। চাকরিজীবীদের পদোন্নতি ও বদলির যোগ আছে। সৎজন সান্নিধ্যে মানসিক আনন্দ। ... বিশদ
বৃহস্পতিবার থেকে রামপুরহাট শহরের ফুটপাত দখলমুক্ত করতে অভিযানে নামে জেলা প্রশাসন। পুনর্বাসনের দাবিতে গত শনিবার থেকে জাতীয় পতাকা কাঁধে আন্দোলনে নামেন কয়েকশো ফুটপাত ব্যবসায়ী। অভিযান রুখতে রাত পাহারা থেকে রাস্তার উপরে খাওয়াদাওয়া শুরু করেন তাঁরা। তাঁদের দাবি ছিল, প্রশাসন তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসে বিকল্প রাস্তা বের করুক। সেইমতো এদিন আন্দোলনকারীদের ছয় প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠকে বসেন মহকুমা শাসক, বিধায়ক ও পুরসভার চেয়ারম্যান। ঘণ্টা তিনেক ধরে বৈঠক চলে। সেখানেই মহকুমা শাসক সাফ জানিয়ে দেন, রাস্তার ধারে অবৈধ নির্মাণ ভেঙে ফেলতে হবে। যদিও সামনে পুজো। আন্দোলনকারীরা পুজো পর্যন্ত না সরানোর দাবি জানান। তা শোনেননি মহকুমা শাসক। উল্টে ১০ জুলাইয়ের মধ্যে কংক্রিটের কাঠামো তাঁদের নিজেদের ভেঙে ফেলতে হবে বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন। যদিও আন্দোলনকারীরা নিজেদের মধ্যে আলোচনার জন্য বৈঠক থেকে বেরিয়ে আসেন। পরে অবশ্য ফের বৈঠকে যোগ দিয়ে প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত মেনে নেন।
মহকুমা শাসক বলেন, সিদ্ধান্ত হয়েছে ১০ জুলাইয়ের মধ্যে রাস্তার ধারের অবৈধ নির্মাণ ভেঙে ফেলতে হবে। ৩ ও ৫ জুলাই ভাঙার কাজ কতটা হল দেখা হবে। যদি নির্দেশ না মানা হয়, নির্দিষ্ট সময়ের পর সেগুলি ভেঙে দেওয়া হবে। তবে তাঁরা সেখানেই অস্থায়ীভাবে ব্যবসা করতে পারেন। কিন্তু নিকাশি নালার ওপারে বসতে হবে। যাতে ট্রাফিক ব্যবস্থা ঠিক থাকে। আমরা হকার জোন করার পরিকল্পনা নিয়েছি। পরে তাঁদের সেখানে স্থানান্তরিত করা হবে। শহর থেকে গ্রাম যেখানেই অবৈধ নির্মাণ রয়েছে, সেখানেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকরা করা হবে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরের ডাকবাংলো মোড়ে থাকা পশু চিকিৎসালয় অন্যত্র স্থানান্তরিত করে সেখানে হকার জোন করা হবে। এছাড়া ভাঁড়শালা মোড়ে সরকারি মাকের্ট রয়েছে। পুরসভা লাগোয়া টিআরডিএর মাকের্টকে হকার জোন করা হবে। আরও কিছু জায়গা দেখা হচ্ছে। শহর হোক বা গ্রাম কোথাও সরকারি জায়গা দখল করে অবৈধ নির্মাণ থাকলে ভেঙে দেওয়া হবে।
যদিও আন্দোলনকারী সাহাজাদা হোসেন কিনু বলেন, আমরা পুজো পর্যন্ত সময় চেয়েছিলাম। কিন্তু প্রশাসন নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় থেকেছে। আমরা সেটা মেনে নিয়েছি ঠিকই তবে, বর্ষার সময় খোলা আকাশের নীচে কী করে ব্যবসা করব, সেটাই চিন্তার। ফুটপাত ব্যবসায়ীরা বলেন, দীর্ঘ কয়েকবছর ধরে তিলতিল করে জমিয়ে ব্যবসার জায়গায় মাথায় ছাদের ব্যবস্থা করেছিলাম। সেটা এক ঝটকায় কেড়ে নিল প্রশাসন।
এদিকে আশিসবাবু বলেন, এটা উদ্দেশ্য নয়, যে তাঁদের ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়া। উদ্দেশ্য হচ্ছে অবৈধ নির্মাণ না রাখা এবং সুস্থ, স্বচ্ছ পরিবেশ তৈরি করা।