গৃহে শুভকর্মের আয়োজনে ব্যস্ততা। বন্ধুসঙ্গ ও সাহিত্যচর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
কুয়েতের আবাসনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বেশ কয়েকজন ভারতীয়র মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজন হলেন দ্বারিকেশ পট্টনায়েক(৫২)। পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন-দু’নম্বর ব্লকের তুরকা গ্রাম পঞ্চায়েতের খণ্ডরুই গ্রামে তাঁর আদি বাড়ি। তিনি মেদিনীপুর শহরের শরৎপল্লিতে নতুন একটি বাড়ি করেছেন। সেখানেই থাকেন তাঁর স্ত্রী ও মেয়ে। মেয়ে এ বছর উচ্চ মাধ্যমিক দেবেন। ২৮ বছর কুয়েতে একটি সংস্থায় সুপারভাইজারের কাজ করতেন দ্বারিকেশবাবু। তাঁর পরিবার জানিয়েছে, কুয়েতের যে আবাসনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে, সেখানে থাকতেন। সংবাদমাধ্যমে আগুন লাগার ঘটনার কথা জানতে পেরে অনবরত সেখানে ফোন করতে থাকে পরিবার। কিন্তু কোনওভাবেই যোগাযোগ করতে পারছিলেন না। উদ্বেগে কাটাচ্ছিলেন সকালে। তিনি যে সংস্থায় কাজ করতেন, ঘটনার পরেরদিন সেই সংস্থার তরফে মৃত্যুসংবাদ পাঠানো হয় পরিবারের কাছে।
শুক্রবার রাতে কেরলের কোচিতে কুয়েতে কর্মরত ৪৫ ভারতীয়র কফিনবন্দি দেহ এসে পৌঁছয়। সেখান থেকে সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ দ্বারিকেশের দেহ আসে দমদম বিমানবন্দরে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল। বিমানবন্দরেই তাঁরা দ্বারিকেশবাবুর কফিনে শেষ শ্রদ্ধা জানান। বেলা ১১টা নাগাদ মেদিনীপুরের বাড়িতে দেহ পৌঁছয়।