গৃহে শুভকর্মের আয়োজনে ব্যস্ততা। বন্ধুসঙ্গ ও সাহিত্যচর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
একসময় এই লাইব্রেরিতে বিভিন্ন ধরনের প্রচুর বই ছিল। গল্প, উপন্যাস, কবিতা, পাঠ্যবই নিতে লাইব্রেরিতে বহু মানুষ আসতেন। এলাকার পড়ুয়ারা লাইব্রেরিতে এসে পড়াশোনা করত। কিন্তু পরবর্তীকালে লাইব্রেরিটি বন্ধ হয়ে যায়। স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকার ফলে অনেক দুষ্প্রাপ্য বই, আসবাবপত্র নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এলাকার বাসিন্দারা লাইব্রেরি সংস্কারের জন্য উচ্চগ্রাম পঞ্চায়েতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। পঞ্চায়েতের তরফে একাজের জন্য ছয় লক্ষেরও বেশি টাকা অনুমোদন করা হয়। এখন লাইব্রেরির নতুন ভবন তৈরি হয়েছে। কিন্তু এখনও লাইব্রেরিটি চালু হয়নি।
এবিষয়ে উচ্চগ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কনিজ বতুল শেখ বলেন, আগের প্রধানের সময় লাইব্রেরি সংস্কার হয়েছিল। শুনেছিলাম, সেসময় স্থানীয়রা বলেছিলেন, ভবন গড়ে দিলে বাকিটা তাঁরা করে নেবেন। ভবন সংস্কার হয়েছে। আমাদের তরফে লাইব্রেরি চালুর বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা সুরজিৎ সোম বলেন, এলাকায় বহু ছাত্রছাত্রী রয়েছে। অনেকের পরিবারে আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্য নেই। ফলে ওই পড়ুয়ারা রেফারেন্স বই কেনার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়ে। লাইব্রেরি চালু হলে পড়ুয়াদের সুবিধা হবে। শুধু পাঠ্যবই নয়, অন্য বিভিন্ন বই, নানা ধরনের পত্র-পত্রিকা পড়ার সুযোগও পাবে তারা।
একসময় বনসুজাপুর, মনোহরপুর সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ নিয়মিত এই লাইব্রেরিতে আসতেন। লাইব্রেরি চালু হলে এলাকার সেই পাঠকসমাজও উপকৃত হবে বলে স্থানীয় বাসিন্দা অপূর্ব সোম জানান। • নিজস্ব চিত্র