কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ
উড়োচটির কাছে কথা হচ্ছিল স্থানীয় চাষি মনোজ মণ্ডল, বাঁকা মণ্ডলদের সঙ্গে। তাঁরা বলেন, তৃণমূলের রাজ্য সরকার সবসময়ই আমাদের পাশে থাকে। মাঝখানে কয়েক বছর চাষিরা ক্যাম্পে গিয়ে ধান বিক্রি করতে পারছিলেন না। ফড়েরা সুবিধা নিচ্ছিল। প্রশাসনের কাছে খবর পৌঁছতেই তারা ব্যবস্থা নেয়। এখন আর ক্যাম্পে গিয়ে ধান বিক্রি করতে সমস্যা হয় না। তবে কেন্দ্রীয় সরকার সারের দাম বাড়িয়ে চাষিদের সমস্যায় ফেলে দিয়েছে। রাজ্য সরকারের হাতে সারের দাম নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা থাকলে হয়তো এমনটা হতো না। খাদ্যদপ্তরের তথ্য বলছে, এবছর পূর্ব বর্ধমান জেলায় চাষিদের কাছ থেকে এখনও পর্যন্ত পর্যাপ্ত পরিমাণ ধান কেনা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৫ লক্ষ ৮৪ হাজার মেট্রিক টন ধান চাষিদের কাছ থেকে খাদ্যদপ্তর কিনেছে। চলতি আর্থিক বর্ষে ৭ লক্ষ ৭৩ হাজার ৬৯০ মেট্রিক টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। সেই টার্গেট পূরণ হয়ে যাবে।
কয়েকদিন আগে গলসিতে ভোট প্রচারে এসেছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা স্বপন দেবনাথ। তিনি বলেন, আমাদের সরকার ‘কৃষকের বন্ধু’। চাষ করার জন্য তাঁরা বছরে দু’বার টাকা পান। ধান কোথায় বিক্রি করতে হবে তা নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। বিজেপি চাষিদের জন্য কিছুই করেনি। ওরা কৃষকদের বিরোধী। সেই কারণেই কৃষকরা দিল্লিতে জমায়েত হয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল। প্রতিবছর তারা সারের দাম বাড়িয়েই চলছে। চাষিদের কথা ভাবলে এটা তারা করত না। বিজেপি নেতা মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, সরকারি ক্যাম্পগুলিতে চাষিদের থেকে বেশি ফড়েরা ধান বিক্রি করে। সহায়ক মূল্য কেন্দ্রীয় সরকার দেয়। তৃণমূলের কাজই হল ভুল বোঝানো। সেটাই তারা করছে। গলসি-২ ব্লকের সাতটি পঞ্চায়েত বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে রয়েছে। এই এলাকার বাসিন্দারা চাষের উপর নির্ভরশীল। সেই কারণেই তৃণমূল ‘কৃষকের বন্ধু’ হয়ে এলাকার বাসিন্দাদের মন জয় করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।