কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ
কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে এবার দু’থেকে আড়াই লক্ষ ভোট নিজেদের ঝুলিতে পড়ার আশা দেখছে সিপিএম নেতৃত্ব। যা এই কেন্দ্রের সামগ্রিক ফলাফলে বিস্তর ফারাক গড়ে দিতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কারণ পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে সিপিএম পেয়েছিল ৩ লক্ষ ৬৭ হাজার ৫৩৪ ভোট। কৃষ্ণনগর উত্তর ও দক্ষিণের মতো হিন্দু অধ্যুষিত বিধানসভায় ভালো হিন্দু ভোট পেয়েছিল সিপিএম। কংগ্রেস পেয়েছিল প্রায় ৭৪ হাজার ভোট। সেই সময় বাম-কংগ্রেসের জোট ছিল না। ফলে ৪ লক্ষ ৩৮ হাজার ৭৮৯ ভোট পেয়ে জয়ী হয় তৃণমূল। বিজেপির প্রাপ্য ভোট ছিল ৩ লক্ষ ২৯ হাজার ৮৭৩।
কিন্তু, এই পরিসংখ্যান ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে যায়। বাম ভোটে পুষ্ট রামের প্রাপ্য ভোট ছিল ৫লক্ষ ৫১হাজার ৬৫৪। বাম-কংগ্রেসের ভোট কমে হয় ১লক্ষ ৫৮হাজার ৫২৭। যার মধ্যে সিপিএম একা পায় ১লক্ষ ২০হাজার ২২২ভোট। অর্থাৎ, ‘আগে রাম পরে বাম’ থিওরির বদান্যতায় সিপিএমের ভোট ব্যাঙ্কে ধস নামে। তৃণমূল পায় ৬লক্ষ ১৪হাজার ৮৭২ ভোট। কিন্তু, বিগত পাঁচ বছরে নানা ইস্যুতে কৃষ্ণনগর লোকসভার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে আমূল পরিবর্তন এসেছে। পঞ্চায়েত ভোটের ফলাফল চব্বিশের লড়াইয়ে অক্সিজেন জুগিয়েছে বাম শিবিরকে। সিপিএমের দাবি, তারা দু’ থেকে আড়াই লক্ষ ভোট পেতে পারে। অর্থাৎ, ঊনিশের নিরিখে বাম-কংগ্রেস জোটের ভোট ৫০ হাজার থেকে এক লক্ষ বাড়তে পারে। এই ভোট বৃদ্ধি নিয়েই যত জলঘোলা। তৃণমূল নাকি বিজেপি-কার ঝুলি থেকে ভোট কাটা যাবে, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
রাজনৈতিক মহলের দাবি, চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে বাম শিবির তাদের প্রচারে সংখ্যালঘু ভোট টানতেই বেশি তৎপর ছিল। চাপড়া, কালীগঞ্জ, পলাশীপাড়ার সংখ্যালঘু এলাকায় প্রচারে জোর দিয়েছিল সিপিএম। বামেরা সংখ্যালঘু ভোট কাটলে চাপ বাড়বে তৃণমূলের। আর কৃষ্ণনগর উত্তর ও দক্ষিণ বিধানসভায় বাম ভোট রামে ফিরলে কপালে ভাঁজ পড়বে বিজেপির। তাই উভয়পক্ষের কাছে ভোট কাটাকাটির খেলায় বাম ভোট এক্স ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সিপিএম নেতা সুমিত বিশ্বাস বলেন, মানুষ তৃণমূল ও বিজেপির সেটিং বুঝে গিয়েছে। তাই জেলা তথা রাজ্য রাজনীতিতে বিকল্প খুঁজছেন সাধারণ মানুষ। আর বামেদের থেকে বড় বিকল্প নেই। নির্বাচনে মানুষের থেকে আমরা স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া পেয়েছি। যা আগামী দিনের লড়াইকে আরও শক্তিশালী করবে। কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান রুকবানুর রহমান বলেন, সিপিএম খাল কেটে কুমির এনেছিল। যার জন্য বাংলা থেকে ওরা সাফ হয়ে গিয়েছে। চব্বিশে তৃণমূলের ভোট কাটতে সিপিএম ময়দানে নেমেছে। কিন্তু, এতে কিছু হবে না। আমরা রেকর্ড মার্জিনে জিতব।বিজেপি নেতা সন্দীপ মজুমদার বলেন, মানুষ বুঝতে পারছে বাংলার অপশাসন বিজেপিই দূর করতে পারে। বিজেপি নিজের ভোটেই এবার কৃষ্ণনগরে জয়ী হবে।