কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ
কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গতবছর জেলায় ২১ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছিল। হেক্টর প্রতি আলু উৎপাদন হয়েছিল ২৯৩ কুইন্টাল। এবছর ১৯ হাজার ১২০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছিল। হেক্টর প্রতি উৎপাদন কমে হয়েছে ২৮৬.৫ কুইন্টাল। গত ডিসেম্বরে বৃষ্টি হওয়ায় আলু চাষে ক্ষতি হয়েছে। আগের বারের থেকে উৎপাদন কম হওয়ার কারণেই দাম বাড়ছে বলে ব্যবসায়ীদের দাবি। তাঁদের যুক্তি, হিমঘরের ভাড়া, আলু বাছাইয়ের খরচ, বাছাইয়ের সময় আলু বাদ যাওয়া ও পরিবহণ খরচ মিলিয়ে দাম বেশি হয়ে যাচ্ছে।
এদিন রামপুরহাটের হাটতলায় বাজার করতে এসেছিলেন জন্মেজয় ঘোষ। তিনি বলেন, সপ্তাহে সাত কেজি করে আলু লাগে। এদিন দাম শুনে তিনি চার কেজি আলু কিনে বাড়ি ফিরলেন। আর এক ক্রেতা বলেন, আলুর বিকল্প কিছু নেই। কিন্তু সব্জি যে কিনব, তাতেও পকেটে টান পড়ছে। সব্জির দামও চড়া।
এদিন রামপুরহাটের বাজারে দেশি পটল ৪০ টাকা ও চালানি পটল ২৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। একইভাবে ঝিঙে ৩৮ টাকা, টোম্যাটো ৪০ টাকা, কুমড়ো ১৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। গরমের এই সময়ে শসা খাওয়ারও উপায় নেই। এদিন শসা ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। সব মিলিয়ে আলুর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সব্জির দামও ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় নাভিশ্বাস উঠছে আম জনতার। তাঁরা দাম নিয়ন্ত্রণে বাজারে প্রশাসনিক নজরদারি চালানোর দাবি করেছেন।
পাইকারি আলু বিক্রেতা মোজ্জামেল শেখ বলেন, বাজারে আলুর দাম বেশি। যেটা মনে হচ্ছে, উৎপাদন কিছুটা কম। তার সঙ্গে আলু এখনও প্রচুর কোল্ড স্টোরে রয়েছে। ফলে চাহিদা ও জোগানে ফারাক রয়েছে। তার জেরে আলুর দাম বৃদ্ধি হচ্ছে।
জেলা উপকৃষি অধিকর্তা শিবনাথ ঘোষ বলেন, গতবারের তুলনায় এবার উৎপাদন কম হলেও চাষিরা মার্কেটে আলুর দাম ভালোই পেয়েছিলেন। কুইন্টাল প্রতি ১২০০-১৩০০ টাকা দরে আলু বিক্রি করেছেন। তাঁর দাবি, উৎপাদন কম হওয়ার কারণেই এবার আলুর দাম বেশি।