কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই স্কিমের মূল লক্ষ্য আরও মোটা অঙ্কের ঋণের ব্যবস্থা করে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির পাশে দাঁড়ানো। এমনিতে রাজ্য সরকারের আনন্দধারার মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ মহিলারা ঋণ পেয়েছেন। গত বছর বীরভূম জেলাতেই প্রায় ১৬০০ কোটি টাকার ঋণ পেয়েছে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি। এতে সমষ্টিগতভাবে অনেকটাই স্বনির্ভর হয়েছেন মহিলারা। এর পাশাপাশি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের ব্যক্তিগত উদ্যোগের চেষ্টায় পাশে দাঁড়াতে চাইছে প্রশাসন। ‘ইন্ডিভিজুয়াল এন্টারপ্রাইজ ফিনান্স’ হিসেবে একজন গোষ্ঠীর সদস্য সর্বনিম্ন ৭০ হাজার টাকা থেকে সর্বাধিক ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাবেন। গতবছর থেকে এই ঋণ দেওয়া হলেও তা প্রচার ও পরিকল্পনা না থাকায় আবেদন সেই অর্থে জমা পড়েনি। ফার্ম কিংবা নন ফার্ম উভয় ক্ষেত্রেই ঋণ মিলতে পারে। খুবই অল্প সুদে ব্যাঙ্ক ঋণ দেবে। আবার নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা পরিশোধ করলে আরও কিছু ছাড় মিলবে বলে জানা যায়। যাঁরা ছোট ব্যবসা যেমন মুদিখানা, হস্তশিল্প, দোকান তৈরির উদ্যোগ নিয়েও থমকে যাচ্ছেন, তাঁদের জন্য এই ঋণ দেওয়ার ভাবনা নেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে আবেদনকারীকে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য হতে হবে, যেই গোষ্ঠী যেন অন্তত ২ বছরের পুরনো হয়। পূর্ববর্তী সব ঋণ যেন মকুব থাকে। জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন জমা করলে তারপর সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ তা যাচাই করে ঋণের ব্যবস্থা করবেন। প্রশাসনের এই উদ্যোগ সফল হলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বহু ক্ষুদ্র ‘স্টার্ট আপ’ মাথা তুলে দাঁড়াবে বলে আশা রাখছেন আধিকারিকরা।
বীরভূম ডিআরডিসি বিভাগের এক আধিকারিক বলেন, ২০২২ সালে এই স্কিমটি চালু হয়। ২০২৪-’২৫ অর্থবর্ষে ৮৫৬১ জনকে ঋণ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। তবে সবটাই নির্ভর করছে আবেদন কেমন পড়ছে তার উপর। বৃত্তসখী, কমিউনিটি রিসোর্স পার্সনরা সমস্ত বিষয়টা দেখেন। আশা করি ক্ষুদ্র ব্যবসার ক্ষেত্রে এই ঋণ দেওয়ার স্কিম ভীষণ সহায় হবে। সিউড়িতে সরকারি অফিসে আসা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর এক মহিলা রেখা প্রতিহার বলেন, আগে এই স্কিমের কথা জানতাম না। অফিসে এসে তা জানতে পারলাম। যদি সহজে ঋণ পাওয়া যায় তো খুবই ভালো হয়। এমনিতেই আমরা সেলাইয়ের কাজের জন্য খরচ মূল্য ও সেই সঙ্গে ব্যবসা বাড়ানোর জন্য ঋণ পেয়েছি। এবার যদি আলাদা আলাদাভাবেও ঋণ দেওয়া হয়, তাহলে তো খুবই ভালো হয়।