সন্তানের দাম্পত্য অশান্তিতে মানসিক চিন্তা। প্রেম-প্রণয়ে বিশ্বাস ভঙ্গ ও মনঃকষ্ট। ব্যবসার অগ্রগতি। ... বিশদ
এদিনের ভিড়ে ঠাসা জনসভায় অভিষেক বলেন, ১৫ বছর আগে বলরামপুরে কী অবস্থা ছিল মনে আছে? সাধারণ মানুষ রাস্তাঘাটে ভয়ে বেরতে পারতেন না। সিপিএম ও তাদের হার্মাদ বাহিনী, সেইসঙ্গে মাওবাদীদের অত্যাচারে অশান্ত হয়ে থাকত এলাকা। যাঁর হাত ধরে পুরুলিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, সেই শান্তিরাম মাহাত এবার তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী। বিজেপির ছোট বড় ও মাঝারি নেতারা যাঁরা বড় বড় কথা বলেন, তাঁদের জন্মের আগেই শান্তিরাম মাহাত নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হয়েছিলেন। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন আরও বলেন, বলরামপুরে ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত সমিতির ২০টির মধ্যে ১৭টি আসন পেয়েছিল বিজেপি। তার কারণ সেই সময় সিপিএমের হার্মাদগুলো লাল জামা ছেড়ে গেরুয়া জামা পরেছিল। ওই সময় থেকেই হিংসা এবং খুনের রাজনীতি শুরু হয়। বিজেপির লোকেরা নিজেদের কর্মী ত্রিলোচন মাহাত এবং দুলাল কুমারকে খুন করে এলাকায় অশান্ত করতে চেয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা সফল হয়নি।
অভিষেক আরও বলেন, সিপিএমের সময়ের কালো দিনগুলি কেউ কেউ ফিরিয়ে আনতে চাইছে। তাদের খেলা শেষ। পুরুলিয়ায় শান্তিরাম মাহাতর জয় কোনও চক্রান্ত করে আর আটকাতে পারবে না। বলরামপুরের বিজেপি বিধায়ক ও পুরুলিয়ার সাংসদ বিজেপির। এই ডবল ইঞ্জিন পুরুলিয়ার জন্য, বলরামপুরের জন্য কী কাজ করেছে তার হিসেব দিতে পারবে না। পুরুলিয়া লোকসভা এলাকায় প্রায় দু’হাজার বুথ রয়েছে। কোনও একটি বুথেও দেখাতে পারবেন না যে, একটিমাত্র বুথেও কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও মন্ত্রীকে ডেকে উন্নয়নের কোনও বৈঠক পর্যন্ত করেছেন সাংসদ। প্রধানমন্ত্রী পুরুলিয়ায় এসে বলছেন, আয়ুষ্মান করতে দেননি। আয়ুষ্মান প্রকল্প করতে দিলে পুরুলিয়ায় তার সুবিধা ১০ হাজার মানুষ পেত। আর স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন পুরুলিয়া প্রায় ২৫ লক্ষ মানুষ। ২০১৯ সালে বিজেপি কুড়মি ভাইদের দাবির বিষয়ে কথা দিয়েছিল। ওই কাজ এক মিনিটের ছিল। কিন্তু তা ঝুলিয়ে রেখে দিয়েছে। আদিবাসীদেরও বঞ্চিত করেছে। পাশের রাজ্য ঝাড়খণ্ডের আদিবাসী মুখ্যমন্ত্রী মাথা নত করেননি বলে তাঁকে জেলে রেখেছে। বিজেপি সংবিধানকে বদলাতে চাইছে। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হবে এসটি-এসসিদের। চারদিন আগেই প্রধানমন্ত্রী পুরুলিয়ায় সভা করতে এসেছিলেন। কিন্তু পুরুলিয়ার জন্য কী কী কাজ করেছেন, সেই রিপোর্ট কার্ড দিতে পেরেছেন কী?
তিনি আরও বলেন, বিজেপির কেউ যদি এসে বলে তারা টাকা দিয়েছে, কিন্তু তৃণমূল আটকে রেখেছে। তাহলে ওই বিজেপি নেতাকে গ্রামে বেঁধে রাখবেন। তারপর আমাকে ফোন করবেন। রিপোর্ট কার্ড পাঠাব। বিজেপির ছোট নেতা থেকে প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত সবাই মিথ্যাবাদী। ওরা কুড়মি ও আদিবাসীদের ঝগড়া লাগিয়ে রাখতে চায়। ৪ জুনের পর কেন্দ্রে প্রগতিশীল ধর্মনিরপেক্ষ সরকার গঠন হবে। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস নির্ণায়ক শক্তি হবে। নতুন সরকারের তিন মাসের মধ্যে রাজ্যের বকেয়া ১ লক্ষ ৬৪ হাজার টাকা নিয়ে আসব আমরা।