সন্তানের দাম্পত্য অশান্তিতে মানসিক চিন্তা। প্রেম-প্রণয়ে বিশ্বাস ভঙ্গ ও মনঃকষ্ট। ব্যবসার অগ্রগতি। ... বিশদ
গত ১৬মে হলদিয়ায় নির্বাচনী প্রচারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য করেন বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎবাবু। সন্দেশখালি প্রসঙ্গ টেনে বিজেপি প্রার্থী কুকথা বলেছিলেন। পরদিন অর্থাৎ ১৭মে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তমলুক শহরে রোড-শো করে তীব্র নিন্দা করেছিলেন। সেইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর সামনে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধার নত হওয়ার ছবি দেখিয়ে জবাব দিয়েছিলেন। পাশাপাশি প্রাক্তন বিচারপতির এই অবমাননাকর মন্তব্যের বিরুদ্ধে কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। সেই ঘটনায় অবশেষে পদক্ষেপ নিল নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবার বিকেল ৫টা থেকে বুধবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ২৪ঘণ্টা বিজেপি প্রার্থী প্রচার চালাতে পারবেন না বলে জানিয়ে দেয় কমিশন। ওই কেন্দ্রের রিটার্নিং অফিসার তথা জেলাশাসক জয়সী দাশগুপ্তের কাছে কমিশনের ওই নির্দেশিকার কপি এসে পৌঁছয়। বিজেপি প্রার্থী কমিশনের নির্দেশিকা পালন করছেন কিনা সেব্যাপারে নজরদারি রাখবে এমসিসি টিম।
প্রচারের গোড়া থেকেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রায়ই বেফাঁস মন্তব্য করেছেন বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎবাবু। এর আগে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যুঘণ্টা বেজে গিয়েছে বলে মন্তব্য করেছিলেন। তা নিয়ে হইচই হয়। প্রতিপক্ষকে সাবধান করতে গিয়ে নিজেকে চন্দ্রবোড়া সাপের সঙ্গে তুলনা টেনে হাসির খোরাক হয়েছিলেন। এছাড়া শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে একটি সভায় জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকদের দু’টি করে বিয়ে বলে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেন। তাঁর আলটপকা মন্তব্যের জন্য বিজেপি নেতৃত্বকে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে। এজন্য নেতৃত্ব কয়েকবার সতর্ক করে দিয়েছে। তারপরও অভিজিৎবাবু শোধরাতে পারেননি। যেকারণে ভোট প্রচারের অন্তিম মুহূর্তে ২৪ঘণ্টার জন্য নির্বাচনী প্রচারে সেন্সর করে দেওয়া হল বিজেপি প্রার্থীকে।
তৃণমূল কংগ্রেসের তমলুক লোকসভা নির্বাচন কমিটির পর্যবেক্ষক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিচারকের চেয়ারে থাকাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর তাঁর ক্রোধ ছিল। বিচারপতি হিসেবে তাঁর নানা মন্তব্য থেকে সেই ক্রোধের প্রতিফলন আমরা দেখেছিলাম। বিচারপতির চেয়ার ছেড়ে রাজনীতিতে আসার পরও সেই ক্রোধ থেকে গিয়েছে। একজন প্রাক্তন বিচারপতি এত কুরুচিকর ভাষায় আক্রমণ করতে পারেন তা ভাবাই যায় না। আমরা বলব, নির্বাচন কমিশন লঘু দণ্ড দিয়েছে। ওঁর মনোনয়ন বাতিল হওয়া উচিত ছিল।
বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, আমি নির্বাচন কমিশনের অর্ডার পেয়েছি। নির্দেশিকার ছদ্মবেশে আমারই সম্মানহানি করে দেওয়া হয়েছে। তাই আমি এই নির্দেশিকা পুনর্বিবেচনার জন্য কমিশনকে বলেছি। নির্বাচন কমিশন আইনে তৈরি একটি স্বশাসিত সংস্থা। তারা আইন কিংবা সংবিধানের ঊর্ধ্বে নয়। আমার বিরুদ্ধে নেওয়া পদক্ষেপের অর্ডার অনলাইনে আপলোড করে তারা আমার যে সম্মানহানি করেছে তার বিরুদ্ধে আইনি পথ খোলা আছে। আমাকে আগে একটা নোটিস দেওয়া হয়েছিল। সোমবার তার জবাব দিয়েছি। তারপর মঙ্গলবার অর্ডার পেয়েছি। এই অর্ডারে ছত্রে ছত্রে আমার মানহানি হয়েছে।
নন্দকুমারে প্রচারে দেবাংশু ভট্টাচার্য।-নিজস্ব চিত্র