সন্তানের দাম্পত্য অশান্তিতে মানসিক চিন্তা। প্রেম-প্রণয়ে বিশ্বাস ভঙ্গ ও মনঃকষ্ট। ব্যবসার অগ্রগতি। ... বিশদ
গত ৭মে তৃতীয় দফায় মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রে লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে ভগবানগোলা বিধানসভার উপনির্বাচন হয়। লাইন দিয়ে মানুষ ভোট দিয়েছেন। বিশেষ করে মহিলাদের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনমুখী প্রকল্পের উপর ভরসা করেই মানুষ তৃণমূলকে সমর্থন করবে, আশাবাদী শাসকদল। উল্লেখ্য, কয়েক মাস আগেই এই কেন্দ্রের তৃণমূলের বিধায়ক ইদ্রিশ আলির অকাল প্রয়াণ ঘটেছে। তাঁর শূন্য আসনেই উপনির্বাচনে বাড়তি অ্যাডভান্টেজ পেয়েছে তৃণমূল।
তৃণমূল প্রার্থী রিয়াত হোসেন বলেন, জয়ের ব্যাপারে আমি সম্পূর্ণ আশাবাদী। এখানকার মানুষ উৎসাহের সঙ্গে আমাকে ভোট দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আমাদের সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন ভগবানগোলার মানুষ পেয়েছেন তাতে তারা সকলেই খুশি। ভোটবাক্সে তার প্রভাব পড়েছে। আমার জয় একেবারেই নিশ্চিত। মার্জিন কত হবে তা নিয়েই অঙ্ক কষা চলছে। এখানে বিজেপি এবং কংগ্রেস কোনও ফ্যাক্টর নয়। লোকসভায় আমাদের প্রার্থী আবু তাহের খানও এখান থেকে ভালো মার্জিনে লিড নেবেন।
বিজেপি প্রার্থী ভাস্কর সরকার বলেন, আগের তুলনায় ফল ভালো হবে। ২০২১সালে দল সাত শতাংশ ভোট পেয়েছিল। এবার সেটা বেড়ে দ্বিগুণের বেশি হবে। না জিতলেও দ্বিতীয় স্থানে থাকব। কংগ্রেস প্রার্থী আনজু বেগম বলেন, মানুষ ভোট দিয়েছে। ফল যাই হোক না কেন মাথা পেতে নেব। লড়াইটা কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের হয়েছে।
উল্লেখ্য, ভগবানগোলা বিধানসভা আসনটি বরাবরই বাম অথবা কংগ্রেসের দখলে থাকলেও ২০১১ সালে সমাজবাদী পার্টির টিকিটে জিতে পরবর্তীকালে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন চাঁদ মহম্মদ। যদিও ২০১৬ সালের নির্বাচনে ওই আসন থেকে বাম প্রার্থী মহসিন আলি জেতেন। কিন্তু ২০২১সালের নির্বাচনে বামেদের কাছ থেকে ওই আসনটি ছিনিয়ে নেয় তৃণমূল। জয়ী হন ইদ্রিশ আলি। তৃণমূল প্রার্থী এক লক্ষ ৫৩ হাজার ৭৯৫টি ভোট পান। প্রতিপক্ষ সিপিএমের মহম্মদ কামাল হোসেন ৪৭ হাজার ৭৮৭ ভোট পেয়েছিলেন। অপরদিকে বিজেপির মেহেবুব আলমের প্রাপ্ত ভোট ছিল ১৬হাজার ৭০৭। বিপুল মার্জিন থাকলেও লোকসভা ভোটের আগে বিধায়কের মৃত্যুতে কে প্রার্থী হবে তা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়। রিয়াতকে বেছে নিয়ে তৃণমূল এই আসনটি নিজেদের দখলের রাখার জন্য ফের ঝাঁপিয়ে পড়ে। এই বিধানসভা থেকে তৃণমূল জয় পেলে লোকসভা আসনেও দলের প্রার্থী আবু তাহের খানের লিড অনেকটাই বাড়বে বলেই আশাবাদী তৃণমূল নেতৃত্ব।