নিকটজনের স্বাস্থ্য সমস্যায় মানসিক অস্থিরতা। মুদ্রণ বা সংবাদপত্রের ব্যবসা,বৃত্তি শিক্ষাকেন্দ্রের পরিচালনায় সাফল্য। ... বিশদ
নবদ্বীপ পঞ্চায়েত সমিতির স্থানীয় সদস্য আয়েব নবি শেখ বলেন, মায়াপুর-বামুনপুকুর-১ পঞ্চায়েতের আবর্জনা সংগ্রহের গাড়ি বাড়ি বাড়ি যাচ্ছে। সেই আবর্জনা সরডাঙায় সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রকল্পে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কিন্তু স্থানীয় দোকানদাররা রাস্তার পাশে আবর্জনা ফেলছেন। আমরা তাঁদের সতর্ক করে দিয়েছি। পঞ্চায়েতের আবর্জনা সংগ্রহের গাড়িতেই জঞ্জাল দিতে বলেছি।
মায়াপুর-বামুনপুকুর ১ ও ২ পঞ্চায়েতের অধীনে থাকা হুলোরঘাট থেকে বামুনপুকুর বাজার পর্যন্ত রাস্তার দু’ধারে আবর্জনা জমে থাকছে। বিশেষ করে শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য মিশন এলাকায় একটি বেসরকারি স্কুলের কাছে আবর্জনা জমে থাকায় অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। দেশবিদেশ থেকে মায়াপুরে ইসকন মন্দির দর্শনে আসা ভক্তদেরও নাকে রুমাল চাপা দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য মিশনের ইনচার্জ রাধারমণ দাস বলেন, বিভিন্ন জায়গার আবর্জনা এনে এখানে ফেলা হয়। আর এখানেই আমাদের মন্দির ও একটি বেসরকারি স্কুল রয়েছে। এটা তো পঞ্চায়েতের দেখা উচিত। বৃষ্টি হলে এখান থেকে খুব দুর্গন্ধ ছড়াবে।
বামুনপুকুর বাজার এলাকার বাসিন্দা পার্থ নাথ বলেন, নানা আবর্জনা ও প্লাস্টিকের বোতল পড়ে থাকছে। এলাকায় আবর্জনা ফেলার ডাস্টবিন নেই। সেকারণে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। ওই এলাকার প্রবীণ বাসিন্দা শম্ভু ঘোষ বলেন, মায়াপুর-বামুনপুকুর-১ পঞ্চায়েতের বিদ্যুৎ অফিসের পাশে রাস্তার ধারেই আবর্জনা পড়ে থাকে। বামুনপুকুর বাজারের সমস্ত আবর্জনা সেখানে ফেলা হচ্ছে।
সিপিএম পরিচালিত মায়াপুর-বামুনপুকুর-১ পঞ্চায়েতের প্রধান নমিতা বিশ্বাস বলেন, গৌরনগর কালভার্টের পর ওই জায়গায় রাতের অন্ধকারে অনেকে এসে আবর্জনা ফেলে যাচ্ছে। তৃণমূল পরিচালিত মায়াপুর-বামুনপুকুর-২ পঞ্চায়েতের প্রধান মৈত্রী ঘোষ বলেন, পঞ্চায়েতের তরফে তাড়াতাড়ি আবর্জনা সাফাই করে দেওয়া হবে। এই আবর্জনা ফেলার জন্য আমরা একটা নির্দিষ্ট জায়গা খোঁজার চেষ্টাও করছি। ইতিমধ্যে একটা জায়গা পছন্দও হয়েছে। এভাবেই মায়াপুরে রাস্তার ধারে আবর্জনা পড়ে রয়েছে। -নিজস্ব চিত্র