ছোট ও মাঝারি ব্যবসায় উন্নতি। বেচাকেনা আর উপার্জন বাড়বে। যে কোনও কাজে ব্যস্ততা বৃদ্ধির যোগ। ... বিশদ
গাংনাপুর থানার ঘোলা শ্রীধরপুর গ্রামে বাড়ি পূজন সর্দার এবং বুজন সর্দারের। দু’জনেরই বয়স ২৮। প্রায় তিন বছর ধরে তাঁরা চেন্নাইয়ের বিভিন্ন জায়গায় নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করতেন। কয়েক মাস আগেই বাড়ি ফিরেছিলেন তাঁরা। নতুন কাজের বরাত মেলায় গত শুক্রবার দুপুরে শালিমার স্টেশন থেকে করমণ্ডল এক্সপ্রেসে চেপে চেন্নাই যাচ্ছিলেন। দু’জনেই ছিলেন এস থ্রি বগিতে। বুজন বলেন, হঠাৎ এত জোরে ঝাঁকুনি হল, কিছু বুঝতে পারিনি। লাইন থেকে অনেকটা দূরে ছিটকে গিয়ে উল্টে পড়েছিল আমাদের বগিটা। চোখের সামনে দেখলাম দু’টো বাচ্চা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল। আমি আর পূজন কোনওক্রমে বেরিয়ে আসি।
পূজন বলেন, কত লোকের হাত পা পিষে গেল। উপরের বার্থ ভেঙে পড়েছিল আমাদের উল্টোদিকে বসা একজনের উপর। আমরা কয়েকজনকে হাত ধরে টেনে নিজেদের সঙ্গেই কামরার বাইরে নিয়ে আসি। আমাদের চোট লাগলেও তা খুব বেশি নয়।
অন্ধকার মাঠ পেরিয়ে গাংনাপুরের এই দুই যুবক আহত অবস্থায় খোঁড়াতে খোঁড়াতে পৌঁছে গিয়েছিলেন জাতীয় সড়কে। স্থানীয় বাসিন্দাদের জিজ্ঞাসা করে পৌঁছে যান নিকটবর্তী বাস টার্মিনাসে। সে রাতে বাস না পেলেও শনিবার দুপুরে কলকাতার বাস ধরেন তাঁরা। অবশেষে দু’জনেই বুধবার সাত সকালে এসে পৌঁছন গাংনাপুরে। সুস্থ অবস্থায় ঘরের ছেলেকে ফিরে পেয়ে খুশি তাঁদের পরিবার। দু’জনকেই গাংনাপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, হাতে পায়ে অল্পবিস্তর চোট লেগেছে দু’জনের। বড় আঘাত নেই। তবে রবিবার তাঁদের হাসপাতালেই নজরে রাখা হবে।