ছোট ও মাঝারি ব্যবসায় উন্নতি। বেচাকেনা আর উপার্জন বাড়বে। যে কোনও কাজে ব্যস্ততা বৃদ্ধির যোগ। ... বিশদ
পাঁচ-ছয় বছর আগেও পদ্মার ভাঙন হনুমন্তনগর পঞ্চায়েতের চরবিনপাড়া থেকে চরবাবুপুর পর্যন্ত এলাকার বাসিন্দাদের কাছে রীতিমতো আতঙ্ক ছিল। বর্ষায় গ্রামবাসীদের চোখের সামনে বসতবাটি, বিঘের পর বিঘে চাষের জমি নদীগর্ভে তলিয়ে যেত। স্বভাবতই তা পদ্মাচরের বাসিন্দাদের দুর্ভাগ্যের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ঘরবাড়ি, চাষের জমি হারিয়ে শতাধিক পরিবার ভগবানগোলা ও জিয়াগঞ্জের রেললাইনের পাশে অস্থায়ী ঘর বানিয়ে কোনওরকমে দিন গুজরান করছেন। অবশেষে রাজ্য সেচদপ্তর ভাঙন রোধে ৬০০ মিটার পাড় বাঁধানোর উদ্যোগ নেয়। কাজ শেষ হলে হনুমন্তনগর পঞ্চায়েতের চরবিনপাড়া, চরবাবুপুর, চরলবণগোলা, চরনতুনপাড়ার বাসিন্দারা ফি বছর ভাঙনের আতঙ্ক থেকে রেহাই পাবেন। জেলা সেচদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ভাঙন রোধের কাজের পাশাপাশি নদীর পাড় বরাবর মাটির রাস্তা করে দেওয়া হয়েছে। ওই রাস্তা হওয়ায় চরের গ্রামগুলির মধ্যে সুগম যোগাযোগ গড়ে উঠেছে। জেলা সেচদপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, কাজ প্রায় শেষের দিকে। স্লোপ পিচিং শেষ করে ডাম্পিংয়ের কাজ চলছে। সামনেই বর্ষাকাল। বর্ষার শুরু থেকে পরবর্তী ছয় মাস আর কাজ করা যাবে না। তাই যতটা সম্ভব কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ভাঙন প্রতিরোধে সাধারণ সিমেন্টের বস্তার পরিবর্তে উন্নত প্রযুক্তির এইচডিপি বস্তা ব্যবহার হচ্ছে। সিমেন্টের বস্তার তুলনায় এইচডিপি ব্যাগের স্থায়িত্ব কয়েকগুণ বেশি। চরবাবুপুরের বাসিন্দা তথা প্রাক্তন ব্লক ত্রাণ ও স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ হাজি নুরুল ইসলাম বলেন, এখানকার চরের বাসিন্দাদের ফিবছর ভোগান্তি থেকে রেহাই দিতে সেচদপ্তর ভাঙন রোধে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। আশা করি, চরের বাসিন্দাদের আর ভাঙনে সর্বস্বান্ত হতে হবে না। অপর বাসিন্দা সাদেক আলি বলেন, বিগত তিন চার বছর এখানে সেভাবে ভাঙন হয়নি। তবুও বর্ষার কয়েক মাস ভাঙনের আশঙ্কায় আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হতো। বাঁধানোর কাজ শেষ হলে চরের বাসিন্দারা বর্ষাকালেও নিশ্চিন্তে থাকতে পারবেন।