যে কোনও ব্যবসায় শুভ উন্নতি আর লাভ বৃদ্ধি। কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তির সহায়তায় কর্মস্থলে জটিলতা মুক্তি। ... বিশদ
দামোদরের তীরে হীরাপুর থানার ধেনুয়া গ্রাম। এখানেই কালীকৃষ্ণ যোগাশ্রমে প্রতি বছর মহালয়ার দিনে হয় দশভূজার চারদিনের পুজো। রাতে হয় ঘট বিসর্জন এবং সপ্তমীতে যখন সকলে পুজোয় মাতোয়ারা, তখন মূর্তি বিসর্জন করে পুজো সাঙ্গ হয় এই আশ্রমে। এবার এখানে পুজো ৫০ বছরে পা দিল। এবারই প্রথম মা মহামায়া পূজিত হবেন নতুন গড়ে ওঠা মন্দিরে। তাই অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার পুজোর আড়ম্বর অনেক বেশি। বিশালাকার ৪০ কড়াই খিচুড়ি প্রসাদের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কমপক্ষে ৪ হাজার লোকের ভোগের প্রসাদ খাওয়ার আয়োজন করা হচ্ছে।
আশ্রমের বর্তমান সেবাইত কৃষ্ণচন্দ্র ধীবর বলেন, তেজানন্দ ব্রহ্মচারী প্রথম এই পুজো শুরু করেন। তখন এই এলাকায় জঙ্গল ছিল। সেভাবে কেউ এদিকে আসতেন না। এখন সেখানেই বড় আশ্রম গড়ে উঠেছে। ব্রহ্মচারীর নির্দেশিকা মেনেই এখনও মহালয়ার দিনেই মা দুর্গার পুজো হয়। স্থানীয়দের দাবি, আসানসোলের ইসমাইলের আশ্রমে থাকতেন তেজানন্দ। তিনি সেখান থেকে এখানে এসে পুজো শুরু করেন। আশ্রম গড়ে তোলেন দামোদর নদের অদূরে। ধীরে ধীরে আশ্রম জনপ্রিয়তা পায়। মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে আশ্রমে। লোকমুখে এই বিশেষ পুজোর কথা ছড়িয়ে পড়তে থাকে। এরপর থেকেই বার্নপুর, হীরাপুর এলাকার মানুষজন এখানে ভিড় জমাতে থাকেন। বিভিন্ন জায়গা থেকে এখানে আসেন ভক্তরা।
অন্য বছরে আশ্রমেই ছোট প্যাণ্ডেল করে পুজো হতো। সেখানে ছোট প্রতিমা থাকত। পুকুর থেকে মঙ্গলঘটের মাধ্যমে জল এনে শুরু হত পুজো। ষষ্ঠীর মন্ত্র দিয়ে পুজো শুরু হত। এরপর সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমীর পুজো হতো। দশমীর মন্ত্র পড়তে পড়তে বিকাল হয়ে যেত। তার মধ্যেই ভক্তরা প্রসাদ গ্রহণ করতেন। এবার কিন্তু বহর অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। আশ্রম প্রাঙ্গণে বিশাল মন্দির তৈরি হয়েছে। যদিও মন্দিরের কাজ এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। করোনা কালে আশ্রমে কোনওরকমে পুজো হয়েছে। এবার সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র। এবার এখানে মূর্তি গড়ছেন ধেনুয়ার নিতাই কুম্ভকার। পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন বাবলু মণ্ডল ও বারীন্দ্রনাথ মণ্ডল। তাঁরা বলেন, এবার পুজো ৫০ বছরের। প্রচুর ভক্ত জমায়েত হবেন বলে আশা করছি।