সংবাদদাতা, কাঁথি: যশ ঘূর্ণিঝড়ের জেরে জলোচ্ছ্বাস ও পরবর্তী সময়ে অবিরাম বৃষ্টিপাতে কাঁথির মহকুমার সমুদ্র ও নদীতীরবর্তী বেশকিছু এলাকায় জীর্ণ কাঠের সেতুগুলি আরও দুর্বল হয়ে গিয়েছে। কোথাও একাধিক পাটাতন ভেঙে গিয়েছে। কোথাও আবার বিরাট অংশ জুড়ে পাটাতনই নেই। জলোচ্ছ্বাসের ধাক্কা তো ছিলই, তার সঙ্গে সমুদ্র ও নদীর সঙ্গে সংযোগকারী খাল ও নালায় জলস্ফীতি এবং জোয়ারের ফলে কাঠের সেতুগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।  বর্তমানে সেতুগুলি রিকশ কিংবা বাইক, সাইকেল  নিয়ে পারাপার করা তো দূরের কথা, হেঁটেও চলাচল করার অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছে। যাঁরা পারাপার করছেন, তাঁদের প্রাণ হাতে নিয়েই পারাপার করতে হচ্ছে। সেতু এড়িয়ে যেতে গেলে বাসিন্দাদের অনেকটা ঘুরে যেতে হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা সহ আশপাশের গ্রামের মানুষজন সমস্যায় পড়েছেন।  অবিলম্বে সেতুগুলি মেরামতের দাবি তুলেছেন তাঁরা। তবে শুধু কাঠের সেতু নয়, জলোচ্ছ্বাসের জেরে কোথাও কোথাও পাকার সেতুরও কমবেশি ক্ষতি হয়েছে।
রসুলপুর নদীতে জলোচ্ছ্বাসের দাপটে দেশপ্রাণ ব্লকের উমাপতিবাড় ও শুনিয়া গ্রাম প্রায় বিধ্বস্ত হয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি দুটি গ্রামের সংযোগকারী জীর্ণ কাঠের সেতু আরও জীর্ণ হয়ে গিয়েছে। দেশপ্রাণ ব্লকেরই সরদা গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর দুরমুঠ এলাকায় জীর্ণ কাঠের সেতুটির অবস্থা আরও সঙ্গীন হয়ে গিয়েছে। ব্লকের নদীতীরবর্তী পূর্ব আমতলিয়া, ঝাওয়া, কাঁথি-৩ ব্লকের কানাইদিঘি এলাকায় কাঠের সেতুরও বেহাল দশা। কাঁথি-১ ব্লকের দেশদত্তবাড় এলাকায় দেশদত্তবাড় ও পূর্ব রামচন্দ্রপুর গ্রামের সংযোগকারী সেতুর ভগ্নপ্রায় অবস্থা। ওই ব্লকেরই দক্ষিণ রসুলপুর ও নারায়ণপুর গ্রামের সংযোগকারী কাঠের সেতুও একই পরিস্থিতি হয়েছে। জলোচ্ছ্বাসের জেরে খেজুরি-১ ও ২, রামনগর-১ ও ২ ব্লকের উপকূলবর্তী এলাকায় জীর্ণ কাঠের সেতুগুলিও আরও বেহাল অবস্থা হয়ে গিয়েছে। প্রতিটি এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, অবিলম্বে সেতুগুলি মেরামত করা হোক। সেচ দপ্তরের কাঁথি বিভাগের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার উত্তমকুমার হাজরা বলেন, আমরা একটি রিপোর্ট তৈরি করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছি। অর্থ বরাদ্দ হলেই সেতুগুলি মেরামত করা হবে।