শারীরিক কারণে কর্মে বাধা দেখা দেবে। সন্তানরা আপনার কথা মেনে না চলায় মন ভারাক্রান্ত হবে। ... বিশদ
গত বিধানসভায় কৃষ্ণগঞ্জ, কালীগঞ্জ, কৃষ্ণনগর উত্তর, শান্তিপুর, রানাঘাট উত্তর পশ্চিম এই পাঁচ আসনে প্রার্থী দিয়েছিল কংগ্রেস। তারমধ্যে কালীগঞ্জ, শান্তিপুর, রানাঘাট উত্তর পশ্চিম এই তিনটি আসনে কংগ্রেসের প্রার্থী জয়ী হন। যদিও তাঁরা ভোটের পর তৃণমূল শিবিরে চলে আসেন। এছাড়াও কৃষ্ণনগর উত্তর বিধানসভায় কংগ্রেস দ্বিতীয় স্থান ধরে রাখে। অন্যদিকে কৃষ্ণগঞ্জ বিধানসভায় কংগ্রেসের প্রার্থী নিত্যগোপাল মণ্ডল তৃতীয় হন। কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে জেলার তরফে প্রদেশ নেতৃত্বকে পাঁচটি আসনে লড়তে চাওয়ার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। গতবারের পাঁচটি আসনের মধ্যে কৃষ্ণগঞ্জ বিধানসভা বাদ দিয়ে বাকি চারটি আসনে বদল কোনওমতে মেনে নেওয়া হবে না। জেলা সভাপতির দাবির ভিত্তিতে প্রদেশ নেতৃত্ব তালিকা তৈরি করেছে বলে কংগ্রেস সূত্রের খবর।
সিপিএমের জেলা সম্পাদক সুমিত দে বলেন, আগের বার যে যত আসনে লড়েছিলাম এবার একই আসন দাবি করে কারও লাভ নেই। জোটের শরিক বেড়েছে। আমাদের দেখা উচিত বিজেপি এবং তৃণমূলের বিরুদ্ধে সব শক্তিকে যাতে বৃহত্তর জোটে জায়গা দেওয়া যায়। তবে, কংগ্রেস ক’টা ছাড়ছে তার উপর ভিত্তি করে তাঁদের আসন ছাড়বেন বলে তিনি জানান।
এদিকে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা না হওয়ায় কার্যত হাত গুটিয়ে বসে আছেন বাম-কংগ্রেস জোটের কর্মীরা। তাঁদের একাংশের দাবি, ১৭টি আসনের মধ্যে কে কটা আসনে লড়াই করবে তা নিয়ে ধোঁয়াশা কাটিয়ে যত দ্রুত সম্ভব প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হোক। না হলে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলির চেয়ে প্রচারে পিছিয়ে পড়তে হবে। এব্যাপারে কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অসীমবাবু বলেন, আমরা বহু জায়গায় দেওয়াল দখল করে রেখেছি। দু’-একদিনের মধ্যে প্রার্থীর নাম ঘোষণা হলেই দেওয়াল লেখা শুরু হবে। সিপিএম নেতা সুমিতবাবু বলেন, ব্রিগেডের সমর্থনে বহু জায়গায় দেওয়াল লেখা হয়েছিল। এখন সেইসমস্ত দেওয়াল সাদা চুন দিয়ে মোছা হয়েছে। প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পরে সেখানেই প্রার্থীর নাম দিয়ে দেওয়াল লিখন হবে। কর্মী-সমর্থকদের প্রচারে নামতে বলা হবে।