শারীরিক কারণে কর্মে বাধা দেখা দেবে। সন্তানরা আপনার কথা মেনে না চলায় মন ভারাক্রান্ত হবে। ... বিশদ
এদিন পাত্রসায়রে প্রয়াত বিধায়ক গুরুপদ মেটের ছবিতে মালা দিয়ে প্রণাম করে তৃণমূলের সোনামুখী ও ইন্দাসের দুই প্রার্থী মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা এবং রুনু মেটে একযোগে প্রচার শুরু করলেন। এদিন পাত্রসায়র থেকে তাঁরা প্রচার শুরু করেন। পাশাপাশি মল্লভুম বিষ্ণুপুরের একাধিক মন্দিরে পুজো দিয়ে রাজপথে হাঁটেন তৃণমূল প্রার্থী অর্চিতা বিদ। কোতুলপুরের তৃণমূল প্রার্থী সঙ্গীতা মালিক এদিন জয়পুরের শ্যামনগরে প্রচার শুরু করেন। তালডাংরার প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তী শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিয়ে বৈঠক করেন। বড়জোড়ার তৃণমূল প্রার্থী অলোক মুখোপাধ্যায় মানাচরে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করলেন। শহরের সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দিরে পুজো দিয়ে এদিন প্রচার শুরু করেন বিষ্ণুপুরের সংযুক্ত মোর্চার কংগ্রেস প্রার্থী দেবু চট্টোপাধ্যায়। পিছিয়ে ছিলেন না সিপিএম প্রার্থীরাও। তালডাংরায় মনোরঞ্জন পাত্র, রানিবাঁধে দেবলীনা হেমব্রম, বড়জোড়ায় সুজিত চক্রবর্তী নিজ এলাকায় প্রচার শুরু করেন। বাঁকুড়া সদরের বিজেপি প্রার্থী নীলাদ্রিশেখর দানাও এদিন মানকানালি এলাকায় প্রচার করলেন।
শ্যামলবাবু বলেন, পাত্রসায়রের একাংশ সোনামুখী ও অন্য অংশ ইন্দাস বিধানসভার মধ্যে পড়ে। আমাদের দাদা প্রয়াত গুরুপদ মেটের আশীর্বাদ মাথায় নিয়ে প্রচার শুরু করেছি। প্রথম দিনে এলাকার মানুষের মধ্যে ভালো সাড়া মিলেছে। রুনুদেবী বলেন, আমার স্বামী এলাকায় ভালো কাজ করেছেন। তিনি চলে গেলেও তাঁর স্ত্রী হিসাবে এলাকাবাসীর উপর আস্থা রাখব। অভিজ্ঞ মন্ত্রী শ্যামলবাবুর সঙ্গে প্রচার করার সুযোগ পেলাম। এতে আমার মনোবল আরও বেড়েছে।
বিষ্ণুপুরের প্রার্থী অর্চিতা বিদ বলেন, এদিন বিষ্ণুপুরের তিনটি মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রচার শুরু করেছি। পরে দলীয় কর্মীদের নিয়ে একটি বৈঠক করি। সেখানে প্রচার কৌশল ঠিক করা হয়েছে। বিষ্ণুপুরের মানুষের মধ্যে ভালো সাড়া পাচ্ছি। কোতুলপুরের প্রার্থী সঙ্গীতা মালিক কর্মী বৈঠক ও পদযাত্রার মাধ্যমে প্রথম দিনের প্রচার সারেন।
তালডাংরার তৃণমূল প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তী বলেন, আমাদের সরকার শিক্ষকদের সম্মান দিয়েছে। তাঁদের মাস পয়লায় বেতনের ব্যবস্থা করেছে। এদিনের বৈঠকে তাঁদের মধ্যে উৎসাহ ছিল তুঙ্গে।
কংগ্রেসের দেবু চট্টোপাধ্যায় বলেন, বাংলায় একের পর এক কলকারখানা বন্ধ হয়েছে। বেকারদের হাতে কাজ নেই। আমরা প্রচারে কর্মসংস্থানকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। এদিন মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রচার শুরু করেছি। ভালো সাড়াও পেয়েছি। সিপিএমের বাঁকুড়া জেলা সম্পাদক অজিত পতি বলেন, এবারে মানুষ সংযুক্ত মোর্চার পক্ষে মত দেবেন। তাই আমাদের প্রার্থীরা প্রচারে নামতেই মানুষের মধ্যে বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনা দেখা গিয়েছে। বাঁকুড়ার বিজেপি প্রার্থী নীলাদ্রিশেখর দানা বলেন, আমি সারা বছর মানুষের পাশে থাকি। তাই বাসিন্দারা আমাকে প্রার্থী হিসাবে পেয়ে ভীষণ উচ্ছ্বসিত।