শারীরিক কারণে কর্মে বাধা দেখা দেবে। সন্তানরা আপনার কথা মেনে না চলায় মন ভারাক্রান্ত হবে। ... বিশদ
এদিন সোহম বলেন, বিজেপি অপপ্রচার করবে। ভুল বুঝিয়ে আপনাদের মাথা ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবে। এতদিন বিজেপি তাই করে এসেছে। ওরা আমাদের বহিরাগত বলছে। আর আমরা তাঁদেরই বহিরাগত বলছি, যাঁরা ভিন রাজ্য থেকে এসে বাংলাকে দখল করার রাজনীতি করছে। একইসঙ্গে উম-পুন সহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে আমরা যাঁদের পাশে পাইনি, তাঁদেরই বহিরাগত বলছি। আমাকে পশ্চিমবঙ্গে বহিরাগত বলার কোনও কারণ নেই। আমি আপনাদের প্রত্যেকের আশীর্বাদ চাইছি। প্রত্যেকের সহযোগিতা চাইছি। আপনাদের ভালোবাসা ও আশিস নিয়ে আগামিদিনে একসঙ্গে কাজ করতে চাই। এই বিধানসভা আমার নয়। এটা আপনাদের বিধানসভা। আপনারা আমাকে গাইড করে নিয়ে যাবেন। আর কথা দিচ্ছি, আগামী পাঁচ বছর কিংবা যতদিন বাঁচব হয়তো আপনাদের এখানেই থাকব। এখানে বাড়ি নিয়েছি। সর্বদা আপনাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য আমি এটা করছি। আমাদের লক্ষ্য একটাই, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখা।
তৃণমূল প্রার্থী আরও বলেন, রাজনীতির ময়দানে আমার পা প্রথমবার নয়। কেউ ডাক্তার হয়, কেউ ইঞ্জিনিয়ার হয়। আমি পেশায় একজন অভিনেতা। তাছাড়া আমি রাজ্য যুব তৃণমূলের সহ সভাপতি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবার আমার উপর আস্থা রেখেছেন। আমি সেই বিশ্বাসের মর্যাদা রাখার চেষ্টা করব। আমরা সকলেই একসঙ্গে চলব।
রবিবার বিকেল ৩টে নাগাদ সোহম প্রথমেই যান ভগবানপুর-১ব্লকের মহম্মদপুর-২গ্রাম পঞ্চায়েতের তিরাইপুর মোড়ে। তারকা প্রার্থীর আসার খবরে ততক্ষণে মোবারকপুর, তিরাইপুর, মহম্মদপুর, মনোহরপুর ও যুদপুর গ্রামের লোকজন তিরাইপুর থেকে গোয়ালাপুকুর যাওয়ার রাস্তার ধারে অপেক্ষা করছিলেন। স্থানীয় বিধায়ক ছাড়াও ভগবানপুর-১ব্লক তৃণমূল সভাপতি অভিজিৎ দাস, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রণব মাইতি সহ তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত হন। নির্বাচনী প্রচারের প্রথম দিন তিরাইপুরে কিছুক্ষণ বক্তব্য রেখে হেঁটে গোয়ালাপুকুরে যান। ততক্ষণে প্রায় এক কিলোমিটার ওই রাস্তার দু’ধারে কাতারে কাতারে মানুষ ভিড় করেন। গোয়ালাপুকুরে একটি পার্টি অফিসের ফিতে কেটে উদ্বোধন করেন তৃণমূল প্রার্থী।
মহম্মদপুর-২গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় পদযাত্রা শেষে সোহম যান গুরগ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। সেখানে রোড শো হয়। সন্ধ্যায় ওই রোড শোয়ে ভিড় দেখে ভিক্ট্রি চিহ্ন দেখান তৃণমূল প্রার্থী। তাঁকে আশীর্বাদ করলে চণ্ডীপুরে থেকে মানুষের জন্য কাজ করবেন বলে সোহম আশ্বস্ত করেন। গুরগ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন এদিন সোহমের কর্মসূচিতে শামিল হয়েছিলেন। এদিন তিনি গুরগ্রামে একটি মন্দিরে পুজো দেন। তারকা প্রার্থীকে ঘিরে প্রচারের প্রথম দিনেই ভগবানপুর-১ব্লকের বিভিন্ন গ্রামের সাধারণ মানুষজনের ব্যাপক উন্মাদনা লক্ষ্য করা যায়।