কর্মপ্রার্থীদের কোনও সুখবর আসতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা। গুপ্ত শত্রু থেকে সাবধান। নতুন কোনও প্রকল্পের ... বিশদ
পুজোর সঙ্গে সিপিএমের সম্পর্ক অতি মধুর না হলেও পুজোয় স্টল দেওয়ার রেওয়াজ দীর্ঘদিনের। এনিয়ে বিতর্কও কম হয়নি। করোনা আবহের মধ্যে ধীরে ধীরে জনসংযোগ বাড়াতে দুর্গাপুজোকে হাতিয়ার করতে চাইছে লালপার্টি। পুরুলিয়া শহরে তিনটে শারদ স্টল ছাড়াও জেলায় সব মিলিয়ে আটটি স্টল দিচ্ছে তারা। তবে এবার মণ্ডপে নয়, কাছাকাছি কোনও জায়গায় ওই স্টল হচ্ছে। সপ্তমীর বিকেলে সেগুলির উদ্বোধন হবে। নডিহা, ডাকবাংলো, গোশালা মোড়ে বুকস্টল হচ্ছে সিপিএমের। এছাড়া মানবাজার, বলরামপুর, রঘুনাথপুর, আদ্রায় তা হচ্ছে।
সিপিএমের পুরুলিয়া জেলা সম্পাদক প্রদীপ রায় বলেন, শারদ বুকস্টল দেওয়া আমাদের দীর্ঘদিনের রীতি। তা প্রতিবছরই বাড়ছে। তবে এবার মহামারীর কারণে আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে এটা করছি। সেখানে দলীয় পত্র-পত্রিকা, মার্কসীয় দর্শনের বই থাকবে।
তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিভিন্ন জায়গায় পাঁচটি স্টল থাকছে। বলরামপুর রেলস্টেশনের কাছে তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের পক্ষ থেকে একটি স্টল করা হচ্ছে। সেখান থেকে দর্শনার্থীদের মাস্ক, স্যানিটাইজার বিলি করা হবে। তৃণমূলের জেলা সভাপতি গুরুপদ টুডু বলেন, সম্প্রীতির বার্তা দিতে বলরামপুরে সংখ্যালঘু ভাইরা এগিয়ে এসেছেন। বলরামপুর সহ আমাদের জেলায় পাঁচটা স্টল হবে। ওই স্টলগুলি থেকে জনসংযোগ বাড়ানোর কাজ করা হবে। পুজোর মধ্যেও অনেকে আমাদের দলে যোগ দিচ্ছেন। এদিনও ঝালদায় যোগদান হয়েছে। শারদীয় আবহে বিজেপি জেলায় কোনও বুকস্টল দেয়নি। কিন্তু, দলীয় স্তরে কর্মসূচিতে তারা জোর দিয়েছে। বৃহস্পতিবার পুরুলিয়া শহরের দুলমি পার্টি অফিসে বিজেপির পক্ষ থেকে বড় এলইডি স্ক্রিন লাগানো হয়। দুর্গাপুজো উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির বক্তব্য সেখান থেকে শোনার ব্যবস্থা করা হয়। বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক বিবেক রাঙা বলেন, আমরা প্রতিবছরই পুজোর সময় শারদীয়া বুকস্টল দিই। তবে এ বছর করোনার জন্য আমরা তা দিইনি।
পুজোয় বুক স্টল দেওয়া এসইউসির দীর্ঘদিনের রেওয়াজ। এসইউসির জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সৌরভ ঘোষ বলেন, আমাদের জেলার বিভিন্ন জায়গায় স্টল থাকবে। তবে প্রতিবার যেমন রাস্তায় দাঁড়িয়ে প্রচার করা হয় সেগুলি এবার করোনার জন্য হচ্ছে না।
পুরুলিয়া জেলা এবার সব রাজনৈতিক দলের কাছেই খুব গুরুত্বপূর্ণ। গত লোকসভা ভোটের নিরিখে এখানে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। তৃণমূলের কাছে বিধায়ক সংখ্যা ধরে রাখা ও বাড়ানো লক্ষ্য। সিপিএমের কোনও বিধায়ক না থাকলেও তাদের সমর্থনে কংগ্রেসের দু’জন বিধায়ক আছেন পুরুলিয়ায়। বিজেপিও খাতা খুলতে মরিয়া। শুধু খাতা খুলতেই চাইছে না, শক্তি প্রমাণেও তারা সচেষ্ট। তাই প্রথম সারির সব রাজনৈতিক দলই পুজোকেও প্রচারের কাজে লাগাতে কোমর বেঁধে নেমেছে।