কর্মপ্রার্থীদের কোনও সুখবর আসতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা। গুপ্ত শত্রু থেকে সাবধান। নতুন কোনও প্রকল্পের ... বিশদ
জানা গিয়েছে, চলতি মাসেই কৃষিদপ্তর থেকে একটি নির্দেশিকা জেলায় পাঠানো হয়। সেখানেই ধানের নাড়া না পোড়ানোর ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত প্রকল্পের কথা বলা হয়েছে। সেখানে আপাতত, এবিষয়ে প্রচারের কথা জানানো হয়েছে। আগামী ৪নভেম্বরকে নাড়া পোড়ানো বিরোধী দিবস হিসেবে পালন করতে বলা হয়েছে। ওই কর্তা বলেন, বহু জায়গাতেই এখন বীজ বোনা থেকে ধান কাটা, সব হচ্ছে ‘কম্বাইন হারভেস্টার’ যন্ত্রে। চাষিদের দাবি, যন্ত্রে ধান কাটার পর অপেক্ষাকৃত বড় নাড়া পড়ে থাকছে জমিতে। ধান ঝাড়ার পর প্রচুর কুচো খড়ও পড়ে থাকছে। তা সাফ করার লোক মিলছে না। তাই জমিতেই আগুন দিতে হচ্ছে।
ফসল কেটে নিয়ে যাওয়ার পর জমিতে পড়ে থাকা অবশিষ্ট অংশ পোড়ানোর ফল কী হতে পারে, কয়েক বছর আগে দেখেছে দিল্লি। সকাল ১০টার সময়ও ঘুটঘুটে অন্ধকার গ্রাস করেছিল। সেই উদাহরণ দেখিয়ে গাছের বাকি অংশ জমিতে না পোড়ানোর জন্য নির্দেশও দেয় কৃষিদপ্তর। কিন্তু পরিস্থিতির খুব একটা বদল হয়নি। এব্যাপারে প্রয়োজনীয় সচেতনতা গড়ে তোলা যায়নি বলেই মত কৃষিদপ্তরের কর্তাদের একাংশের। সেজন্যই আবারও লিফলেট বিলি, মাইকে প্রচার হচ্ছে গ্রামে গ্রামে। পাশাপাশি পুজোর পর শিবির করে এর কুফল বলা, চাষিদের বোঝানোর কাজ করা হবে।
জেলার উপ কৃষি অধিকর্তা(প্রশাসন) রঞ্জন রায়চৌধুরী বলেন, এভাবে আগুন ধরানোর ফলে মাটিতে মিশে থাকা চাষের সহযোগী পোকামাকড় ও জীবাণু মরে যায়। তাতে আখেরে ক্ষতিই হয়। তার সঙ্গে রয়েছে দূষণের সমস্যা। এতে ভয়ানক বায়ুদূষণ ছড়ায়। এছাড়াও এই প্রবণতার জেরে একগুচ্ছ ক্ষতি হয়। রাজ্যের নির্দেশে আমরা এনিয়ে পুজোয় সচেতনতার প্রচার শুরু করছি। আর এই প্রথম এটা প্রকল্প হিসেবে হাতে নিয়ে এই কাজ বন্ধ করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। সবটাই হচ্ছে রাজ্যের নির্দেশে।
কৃষিকর্তারা বলছেন, জমির উপরিভাগের ছ’ইঞ্চি মাটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। নাড়া পোড়ানোয় মাটির গঠন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। জলধারণ ক্ষমতা কমে যায়। মাটিতে থাকা উপকারী জীবাণু নষ্ট হয়ে যায়। চাষিদের অনেকেই মনে করেন, এতে কোনও ক্ষতি হয় না। এতে জমিতে সার বাড়ে। আগে তো পোকামাকড় মারতে আগুন দেওয়াই রীতি ছিল। কিন্তু এই ধারণা যে সম্পূর্ণ ভুল তা বার বার বলে আসছেন কৃষি বিজ্ঞানীরা।
প্রচার করা হচ্ছে, ধানের খড় না পুড়িয়ে আয় বাড়ানোও সম্ভব। খড় ঠিকমতো সংগ্রহ করলে জ্বালানি, শিল্পের কাঁচামাল, গবাদি পশুর খাদ্য হিসেবে বিক্রি করা সম্ভব। খড় ও নাড়া মাটিতে মিশিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করলে মাটির উর্বরতা, জলধারণ ক্ষমতা বাড়ে।