কর্মপ্রার্থীদের কোনও সুখবর আসতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা। গুপ্ত শত্রু থেকে সাবধান। নতুন কোনও প্রকল্পের ... বিশদ
ঢাকে আওয়াজ না শুনলে পুজোর আনন্দই ফিকে। তাই দীর্ঘদিন ধরে ছোট-বড় সব পুজোতেই একাধিক ঢাকের বোলে সরগরম হয় মণ্ডপ চত্বর। পুজো মাতাতে বীরভূমের ঢাকিরাও কম যান না। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের পুজো মণ্ডপে যেমন বীরভূমের ঢাকিরা বোল তোলেন, তেমনি ভিনরাজ্যেও কদর এই জেলার ঢাকিদের। প্রতিবছর জেলার ঢাকিরা দেশের বিভিন্ন রাজ্যে পুজোতে ঢাক বাজিয়ে আনন্দ দিতে যান।
কিন্তু, এবার পরিস্থিতি অন্যরকম। করোনার কোপে দীর্ঘ মার্চ মাস থেকে সমস্ত ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। বাস পরিষেবাও পর্যাপ্ত নয়। এমন অবস্থায় জেলা থেকে ভিনরাজ্যে ঢাক বাজাতে বিপাকে পড়ছেন শিল্পীরা। পুজো হলেও এবার ভিনরাজ্যে ঢাক বাজাতে যে সমস্যা হবে তা আগেভাগেই আঁচ করেছিলেন ঢাকিরা। তার ফলে অনেকে এবার পুজোর জন্য নতুন বোলও তোলেননি। কোথাও আবার নতুন বোল তুলে প্রতিদিন সন্ধ্যায় মহড়া দিলেও তেমনভাবে বায়না পাননি।
অনেকেই বলছেন, এবার গোটা দেশেই পুজোর বাজার মন্দা। আর্থিক অসুবিধার জেরে উদ্যোক্তারা গতবারের তুলনায় পুজোর বাজেটে কাটছাঁট করেছেন। ছোট হয়ে গিয়েছে পুজো। কোথাও আবার কোনওভাবে নমো নমো করে পুজো করা হচ্ছে। তাই অন্য বছরের মতো ঢাকির দলকে ডাকতেও অসুবিধায় পড়ছেন উদ্যোক্তারা।
ঢাকিদের সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে পুজোমণ্ডপে দর্শনার্থীদের আনন্দ দিতে ঢাকে বদল আনা হয়েছে। দলে সদস্য সংখ্যা বাড়াতে হয়েছে। তার সঙ্গে নতুন বোলের সাযুজ্য রাখতে হচ্ছে। কার্যত প্রতিযোগিতা করে পুজোর বায়না নিতে হয়। কিন্তু, এবার সেইসব প্রস্তুতি অনেক জায়গাতেই করা হয়নি।
সিউড়ির গাংটে এলাকার ঢাকি শ্রীকৃষ্ণ দাস বলেন, পুজোয় ভেদিয়াতে আমরা ঢাক বাজাতে যাই। সেজন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। নতুন বোল তুলে প্রতিদিন সন্ধ্যায় দলের সদস্যদের নিয়ে রিহার্সাল দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু, পুজোয় বাজানোর জন্য এখনও পর্যন্ত উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে ডাক পাইনি। ডাক পাওয়ার অপেক্ষায় আছি। সাঁইথিয়ার অমরপুরের ঢাকি বিশ্বজিৎ দাস বলেন, প্রত্যেক বছর পুজোয় ধানবাদে ঢাক বাজাতে যাই। এবার সেখান থেকে ডাক এলেও ট্রেন না চলায় যেতে পারব না। বাসে যাওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হলেও সবাই তাতে সহমত হচ্ছেন না। তাই এবার পুজোয় কাজ হারিয়ে বাড়িতেই থাকব। ওই গ্রামের আর এক ঢাকি মদন দাস বলেন, ঝাড়খণ্ডে ঢাক বাজাতে যাই। কিন্তু, এবার যাওয়ায় অনেক অসুবিধা রয়েছে। পুজোর পর বাড়ি ফিরলেও গ্রামের স্কুলে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হতে পারে। সেই আতঙ্কও রয়েছে।