কর্মপ্রার্থীদের কোনও সুখবর আসতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা। গুপ্ত শত্রু থেকে সাবধান। নতুন কোনও প্রকল্পের ... বিশদ
এদিন সকাল ১০টায় বর্ধমান শহরের সবুজ সঙ্ঘের সামনে গিয়ে দেখা গেল, অনেকেই প্রতিমা দর্শনে বেরিয়েছেন। পরণে নতুন পোশাক। লাল্টু স্মৃতি সঙ্ঘের সামনেও গিয়ে দর্শনার্থীদের দেখা মিলল। পুলিস লাইনের মণ্ডপেও একই ছবি। তবে, সবার মুখে মাস্ক। কারও হাতে গ্লাভস। কেউ আবার ফেস শিল্ড পরে বাইরে বেরিয়েছিলেন। সকালের দিকে বাড়ির প্রবীণদের সঙ্গে কচিকাঁচারা পুজো দেখতে বেরিয়েছিলেন। বিকেলের পর প্রবীণদের ভিড় কমলেও তরুণ-তরুণীদের ভিড় বেড়েছে। প্রতিটি বড় পুজো মণ্ডপের সামনেই বসানো হয়েছে স্যানিটাইজারের টানেল। তার ভিতর থেকেই দর্শনার্থীদের প্রবেশ করতে হচ্ছে। ১০ মিটার দূরে ব্যারিকেডের সামনে দাঁড়িয়েই প্রতিমা দর্শন করেছেন সকলেই। পুলিস ও স্বেচ্ছাসেবকরা মানুষকে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার ঘোষণা করছেন মাইকে। তবে, এবার দর্শনার্থীরাও সচেতন। কেউই ভিড়ে পা মাড়াচ্ছেন না। ফাঁকা জায়গায় দাঁড়িয়েই পুজোর সেল্ফি তুলছেন। মুখে মাস্ক। তাই মুখ চেনা যায় না। অনেকে মাস্ক মানিয়েও সেল্ফি সারছেন।
তবে, এবার পুজোর ছন্দ অন্যরকম। রাস্তার ধারে আলোর গেট বসানো হলেও সেই আলোর পাশে ফাস্টফুডের দোকান নেই। সেই চেনা ভিড়ের ছবিও উধাও। ভিড় বেড়েছে রেস্তরাঁর সামনে। মণ্ডপের পাশে যাদের মেলা বসত, এবার সেই মেলাও উধাও। করোনার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব জায়গায় মেলা বন্ধ করা হয়েছে। উদ্যোক্তাদের কথায়, মেলা থেকেও পুজোর আয় হতো। কিন্তু, এবার সবেতেই কোপ। তবে, নিম্নচাপ নিয়ে পুজো উদ্যোক্তারা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। কারণ, করোনার জন্য এবার খোলামেলা মণ্ডপ হয়েছে। অনেকের উপরে ছাউনি পর্যন্ত নেই। তাই বৃষ্টি হলে মণ্ডপের ক্ষতি হবে বলেই আশঙ্কা করছেন তাঁরা।
এদিন পশ্চিম বর্ধমানে রংবেরঙের পোশাকের সঙ্গে বাহারি মাস্ক পরে পুজো দেখতে বেরলেন সকলে। এখানেও বেশিরভাগ জায়গাতেই স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়। তবে, কিছু জায়গায় সামাজিক দূরত্ববিধি লঙ্ঘন করে চলল পুজা দেখা। তবে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পুলিস ও প্রশাসনের কড়া নজরদারিতে রাস্তায় মানুষের ঢল নামলেও, সামাজিক দূরত্ব বিধি মানতে দেখা গিয়েছে। এদিন পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলে একাধিক পুজো মণ্ডপের উদ্বোধন করেন মন্ত্রী মলয় ঘটক। তেমনই দুর্গাপুরে মেয়র দিলীপ অগস্থির হাত ধরে বহু পুজোমণ্ডপের উদ্বোধন হয়েছে। ষষ্ঠীর দিন সন্ধ্যা থেকেই মানুষ মণ্ডপমুখী হন। যদিও আদালতের রায়কে মান্যতা দিতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মণ্ডপের ভিতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না দর্শনার্থীদের। খোলামেলা মণ্ডপে তাই রাস্তা থেকেই প্রতিমা দর্শন করতে দেখা যায় জেলাবাসী।
এদিন নববিকাশ ক্লাব, আসানসোলের কল্যাণপুরের পুজোগুলিতে ভালো জনসমাগম হয়েছিল। একইভাবে দুর্গাপুর মার্কনী, অগ্রণী, নবারুণ, ফুলজোড়ের পুজোয় ভিড় থেকে পরিষ্কার যে মানুষ আতঙ্ক ভুলে রাস্তায় নেমেছেন। তবে, এবার অবশ্যই পোশাকের থেকে বেশি নজর কাড়ছে মাস্ক। নানা ডিজাইন ও রঙের পাশাপাশি, অনেককে মাস্কের মাধ্যমে সচেতনতার বার্তা দিতেও দেখা গিয়েছে।