অত্যধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা, বাহন ক্রয়ের বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। সন্তানের বিদ্যা শিক্ষায় সংশয় ... বিশদ
ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক আয়েষা রানি এ বলেন, সরকারি জমি দখল করা বেআইনি। এরকম হয়ে থাকলে অবৈধ নির্মাণ ভেঙে দখল উচ্ছেদ করা হবে। বিষয়টি আমি পুলিসকে দেখতে বলছি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরের ওই জমিতেই ঝাড়গ্রামের নতুন পুরসভার ভবন, সরকারি সাংস্কৃতিক কলাকেন্দ্র, প্রশাসনিক বিভিন্ন দপ্তরের ভবন তৈরি হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু, জবরদখল হওয়া জমিতে কীভাবে প্রশাসনিক ভবন তৈরি হবে, তা নিয়েই এখন প্রশ্ন উঠছে।
ঝাড়গ্রাম শহরের একলব্য সরণীর ধারে বিস্তীর্ণ এই সরকারি জমি রয়েছে। জমির অনেকটা অংশই দখল করে বাড়ি-ঘর তৈরি করা হয়েছে। এরকম চলতে থাকলে জমির বাকি অংশও দ্রুত দখল হয়ে যাবে বলে শহরবাসীর ধারণা। এনিয়ে ভূমিদপ্তরও চিন্তিত। তারাও চাইছে, প্রশাসন এখনই এব্যাপারে ব্যবস্থা নিক। বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, ঝাড়গ্রাম জেলা হওয়ার পরে অরণ্যশহরে সক্রিয় হয়ে উঠেছে জমি মাফিয়ারা। জমি-চক্রের লোকজনই দখল করা জমি বিক্রি করে দিচ্ছে। দূর-দূরান্ত থেকে রুজি-রুটির খোঁজে আসা লোকজন টাকার বিনিময়ে ওই জমি কিনে বাড়ি তৈরি করে ফেলছে।
অরণ্যশহরের একলব্য স্কুল ও রামকৃষ্ণ মিশন লাগোয়া রাস্তার ধারে সরকারি ও রায়তি দু’ধরনের জমিই রয়েছে। দখল হচ্ছে মূলত সরকারি জমি। ওই সব জমিতে মাটি ও ইটের বাড়ি তৈরি করে বসবাস শুরু করেছে লোকজন। রাস্তার ধারে চার একর জমিতে সরকারি একলব্য আবাসিক স্কুল রয়েছে। ওই স্কুলটিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রামকৃষ্ণ মিশনের হাতে তুলে দিয়েছেন। ঝাড়গ্রাম জেলা হওয়ার দিন ২০১৭ সালের ৪ এপ্রিল একলব্য স্কুলের পাশে পাঁচ একর জমি সরকারিভাবে রামকৃষ্ণ মিশন কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই পাঁচ একর জায়গায় চারদিকে প্রাচীর দিয়ে রামকৃষ্ণ মিশনের প্রার্থনা কক্ষ তৈরি করা হয়েছে। এছাড়াও এখনও ২০ একর সরকারি জমি পড়ে রয়েছে। লকডাউনের সুযোগে সেই ফাঁকা সরকারি জমিতেই গজিয়ে উঠেছে বাড়িঘর। লকডাউনের দু’মাসের মধ্যে ওই সরকারি জায়গায় কয়েকশো মাটির বাড়ি তৈরি হয়ে গিয়েছে।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, করোনা আর লকডাউন নিয়ে ব্যস্ত থাকায় প্রশাসন এই দু’মাস অন্য কোনও দিকে নজর দিতে পারেনি। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই অনেকে রাতারাতি মাটির ও ইটের বাড়ি তৈরি করে নিয়েছে। এখনও জায়গা ঘিরে নিয়ে অনেকে বাড়ি তৈরি করে চলছে। কেউ কেউ আবার জায়গা ঘিরে রেখেছে। ভবিষ্যতে বাড়ি তৈরি করবে। তারা দেখে নিতে চাইছে, প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে এগয় কি না! তারপর তারা বাড়ি করবে। জবরদখলকারীদের বক্তব্য, জায়গাটি ফাঁকা পড়ে আছে। তাদের বসবাসের কোনও জায়গা নেই। তাই তারা বাড়ি করেছে।