অত্যধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা, বাহন ক্রয়ের বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। সন্তানের বিদ্যা শিক্ষায় সংশয় ... বিশদ
ক্ষতিগ্রস্ত আরও প্রায় ৬০হাজার পানচাষির জন্য প্রায় ৩০কোটি টাকা এবং কৃষকবন্ধু পোর্টালে নথিভুক্ত সমস্ত চাষির অ্যাকাউন্টে এসডিআরএফ(স্টেট ডিজাস্টার রেসপন্স ফান্ড)-র টাকা দেওয়ার জন্য আরও ১০০কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে বলে জেলা কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। জেলা কৃষিদপ্তরের উপ অধিকর্তা(প্রশাসন) আশিসকুমার বেরা বলেন, মঙ্গলবার ২০হাজার পান চাষি সহ মোট ৭০হাজার ক্ষতিগ্রস্ত চাষির অ্যাকাউন্টে এসফিআরএফের ২০কোটি টাকা পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৯মে রাজ্য সরকার পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় উম-পুন সাইক্লোনের ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি মেরামতের জন্য প্রথম পর্যায়ে ১০০কোটি টাকা পাঠিয়েছে। এরই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের জন্য এসডিআরএফ থেকে আরও ২০কোটি টাকা পাঠানো হয়। ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি মালিকরা মাথাপিছু ২০হাজার টাকা পাবেন। ইতিমধ্যে প্রথম ধাপে আসা ১০০কোটি টাকা ব্লকস্তরে সাব অ্যালটমেন্ট করে দেওয়া হয়েছে। তারপর দ্বিতীয় ধাপে আরও ৯৮কোটি টাকা এসে গিয়েছে।
এদিকে কৃষিতে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য টাকা এলেও সেটা বিলি বণ্টন হচ্ছিল না। কৃষিদপ্তরের অফিসাররা খানিকটা দ্বিধার মধ্যে ছিলেন। কারণ, ক্ষতিগ্রস্ত চাষির তালিকা দীর্ঘ। প্রথম পর্যায়ে যে টাকা এসেছে, তা দিয়ে বড়জোর ১০শতাংশ চাষির অ্যাকাউন্টে ক্ষতিপূরণ পাঠানো যাবে। বাকি চাষিরা বঞ্চনার অভিযোগ তুলে ক্ষোভ বিক্ষোভ দেখালে কৃষিদপ্তরের অফিসে দৈনন্দিন কাজকর্ম করা অসম্ভব হয়ে পড়বে। যদিও রাজ্য সরকার নির্দেশ দেয়, প্রথম পর্যায়ে পাঠানো টাকা আগে ক্ষতিগ্রস্তদের অ্যাকাউন্টে দিতে হবে। তারপর ধাপে ধাপে বাকি ক্ষতিগ্রস্তদের টাকা পাঠানো হবে। এসডিআরএফের টাকা কোনওভাবেই জেলায় জমা রাখা যাবে না। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কৃষিক্ষেত্রে ৩১০০মৌজাকে ক্ষতিগ্রস্ত হিসেবে গেজেট নোটিফিকেশন করে দিয়েছেন জেলাশাসক পার্থ ঘোষ। ওইসব মৌজার সাত লক্ষের বেশি চাষি ক্ষতিপূরণ পাওয়ার দাবিদার। এরআগে বুলবুল সাইক্লোনের সময়ও জেলার ৩০১২মৌজাকে এভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন জেলাশাসক। সেইসময় আমন চাষে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ২০৫কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছিল।
এবার অবশ্য কৃষকবন্ধু প্রকল্পের ধাঁচে ক্ষতিপূরণ মিলবে। অর্থাৎ একজন চাষি সর্বোচ্চ আড়াই হাজার থেকে সর্বনিম্ন এক হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ পাবেন। জেলায় কৃষকবন্ধু পোর্টালে নথিভুক্ত ৭লক্ষ ৩৫হাজার চাষির অ্যাকাউন্টে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। অ্যাকাউন্ট ভেরিফিকেশনের কাজ চলছে সমান্তরালভাবে। মঙ্গলবার অবশ্য ৫০হাজার চাষির অ্যাকাউন্টে মাথাপিছু দু’হাজার করে মোট ১০কোটি টাকা পাঠানো হয়েছে। জেলার ২৫টি ব্লকের চাষিদের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো হয়েছে। পাঁশকুড়া, কোলাঘাট, এগরা-১ ব্লকে তুলনায় বেশি চাষিদের অ্যাকাউন্টে টাকা গিয়েছে।
একদিনেই মোট ৭০হাজার চাষির অ্যাকাউন্টে এসডিআরএফ গ্র্যান্টের টাকা পাঠানোর পাশাপাশি বাকি চাষিদের অ্যাকাউন্টে টাকা দেওয়ার জন্য আরও ১৩০কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে। উম-পুন সাইক্লোনে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ১২০০কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে কৃষিদপ্তরের পক্ষ থেকে রাজ্যে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে।