অত্যধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা, বাহন ক্রয়ের বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। সন্তানের বিদ্যা শিক্ষায় সংশয় ... বিশদ
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁকুড়া জেলায় এখনও পর্যন্ত ৪৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১৮ জন সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে নিজেদের বাড়িও ফিরেছেন। এই পরিস্থিতিতে আক্রান্তদের বাড়ি ও সংলগ্ন এলাকায় কোনওভাবেই যাতে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে না পারে, সেদিকে নজর দিয়েছে প্রশাসন। সেজন্যই স্বাস্থ্যদপ্তরের গাইডলাইন মেনে আক্রান্তের বাড়ির এলাকাকে ‘এ’ জোন ও তার আশেপাশের চারদিকের এলাকাকে ‘বি’ জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আবার আক্রান্তরা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার পর সেই এলাকাগুলিকে ধাপে ধাপে এ থেকে বি জোন ও বি থেকে স্বাভাবিক এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হচ্ছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ছাতনা ব্লকের জামতোড়া, শালডিহা, চিনাবাড়ি, ঝুজকা ও ছাতনা-২ এই পাঁচটি গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট ১২টি গ্রামকে এ-জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এছাড়াও ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের করোনা আক্রান্তদের গ্রাম লাগোয়া আরও ১১টি গ্রামকে বি জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। পাত্রসায়র ব্লকের পাত্রসায়র, বালসি-২, বিউরবেতুর, কুশদীপ, বীরসিংহ ও হামিরপুর এই ৬টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৬টি গ্রামকে এ-জোন ও ১৪টি গ্রামকে বি-জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। কোতুলপুর ব্লকের গোপীনাথপুর, সিহড়, লাউগ্রাম ও লেগো গ্রাম পঞ্চায়েতের ৬টি গ্রামকে এ জোন ও ৪৩টি গ্রামকে বি জোন হিসেবে নজরদারি চালানো হচ্ছে। খাতড়া ব্লকের খাতড়া-২ ও ধনাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দু’টি গ্রামকে এ জোন ও দু’টি গ্রামকে বি-জোন করা হয়েছে। ইন্দাস ব্লকের রোল ও ইন্দাস-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের দু’টি গ্রাম এ জোন ও চারটি গ্রাম বি জোনে রয়েছে। এছাড়াও শালতোড়া, জয়পুর, সোনামুখী ব্লকের একটি করে গ্রাম এ জোন ও বি জোনে রয়েছে। বি জোন এলাকায় থাকা গ্রামগুলিতে ঢোকার রাস্তা থেকেই পুলিস ও সিভিক ভলান্টিয়াররা নজরদারি চালাচ্ছেন। অন্যদিকে, এ জোন হিসেবে চিহ্নিত গ্রামের যে পাড়ায় কেউ আক্রান্ত হয়েছেন, সেই পাড়ার বাসিন্দাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে আশাকর্মীরা বাড়ি থেকে না বেরনোর অনুরোধ করছেন। একই সঙ্গে কারও জ্বর, সর্দি-কাশির উপসর্গ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে তা জানানোর পরামর্শ দিচ্ছেন। প্রয়োজনে পুলিস ও সিভিক ভলান্টিয়াররা ওই এলাকার মানুষের প্রয়োজনীয় জিনিস বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ারও ব্যবস্থা করছেন।
প্রশাসনের দাবি, প্রতিদিনই এ ও বি জোনের সংখ্যা এবং এলাকার পরিবর্তন হচ্ছে। কোনও আক্রান্ত ব্যক্তি ছাড়া পাওয়ার ৭ দিন পরেই সেই এলাকাকে বি জোনে পরিবর্তিত করা হচ্ছে। আর বি জোন স্বাভাবিক এলাকায় পরিবর্তিত হচ্ছে। আবার নতুন করে কোনও এলাকায় কেউ আক্রান্ত হলে সেই এলাকা এ ও বি জোনের আওতায় আসছে।
থার্মাল স্ক্যানিং চলছে। - নিজস্ব চিত্র