বিদ্যার্থীদের মানসিক স্থিরতা রাখা দরকার। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। তবে নতুন বন্ধু লাভ হবে। সাবধানে পদক্ষেপ ... বিশদ
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, লাভপুর থানার দারন্দা গ্রামের বাসিন্দা স্বপনের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল মহম্মদবাজার থানা এলাকার ওই ছাত্রীর। ওই ছাত্রী সিউড়ির একটি কলেজের পড়াশোনা করছেন। দু’জনেই বিয়ে করবেন সিদ্ধান্ত নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় মিলিত হতেন। কিন্তু, গতবছর স্বপন বিএসএফে চাকরি পাওয়ার পর পরিস্থিতি বদলে যায়। স্বপনের পরিবারের তরফে তার অন্যত্র বিয়ে ঠিক করা হয়। এমনকী, তার আশীর্বাদ পর্ব হয়ে যায়। বিয়ে করতে পারবে না বলে স্বপন ওই ছাত্রীকে জানিয়ে দেয়। তার মধ্যেই ফেব্রুয়ারি মাসে স্বপন ছুটিতে বাড়ি আসে। ১৪ফেব্রুয়ারি বোলপুরের একটি লজে স্বপন ছাত্রীকে দেখা করার জন্য ডাকে। ছাত্রী তার বাবা-মাকে সঙ্গে নিয়েই বোলপুরে এসে লজের কাছাকাছি থাকতে বলে স্বপনের সঙ্গে দেখা করতে যান।
ছাত্রীর আইনজীবী বিশ্বনাথ সরকার বলেন, স্বপন ১৪ফেব্রুয়ারি ছাত্রীর সঙ্গে সহবাস করে। তারপর তাকে জানিয়ে দেয়, সে বিয়ে করতে পারবে না। পাত্রী লজ থেকে বেরিয়ে এসে বাবা-মা’কে বিষয়টি জানায়। তারপর ওই ছাত্রী প্রেমিক স্বপনের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করার অভিযোগ তুলে বোলপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিস গ্রেপ্তার করে। সেইদিনই ছাত্রীর মেডিক্যাল টেস্ট করানো হয়। টেস্টে সহবাসের বিষয়টি প্রমাণিত হতেই পুলিস স্বপনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও প্রতারণার মামলা রুজু করে। অভিযুক্তকে আদালতে তোলা হলে বিচারক জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
এদিকে স্বপনের ছুটি শেষ হতে চললেও জামিন হচ্ছিল না। তার চাকরি ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিতে পারে ভেবে আইনজীবীদের সহায়তায় দুই পরিবারের মধ্যস্থতায় সেই ছাত্রীকে বিয়ে করতে রাজি হয় স্বপন। সেইমতো বিষয়টি আদালতেও জানানো হয়। শনিবার আদালতের ছাড়পত্র পাওয়ার পর পুলিসি ঘেরাটোপে এক ঘণ্টার প্যারোলে মুক্তি পেয়ে কঙ্কালীতলা মন্দিরে বিয়ে হয় দু’জনের। মালাবদল, সিঁদুর দান, শুভদৃষ্টি সহ সমস্ত ধর্মীয় রীতি মেনেই বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ে দেখতে মন্দির চত্বরে ভিড় জমিয়েছিলেন প্রচুর মানুষ।
স্বপনের বাবা বলেন, ছেলের প্রেমের বিষয়টি আমরা কিছুই জানতাম না। তাই ছেলের বিয়ে ঠিক করেছিলাম। এখন ছেলে যাকে ভালোবেসে বিয়ে করেছে তাকেই বউমা করে বাড়ি নিয়ে যাব।