কর্মপ্রার্থীদের কোনও চুক্তিবদ্ধ কাজে যুক্ত হবার যোগ আছে। ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে। বিবাহের যোগাযোগ ... বিশদ
দিন দুয়েক আগে থেকে শুরু হয় গাছ কাটা। বাসিন্দাদের অভিযোগ, ইতিমধ্যে একাধিক প্রাচীন গাছ কেটে নেওয়া হয়েছে। এদিন এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, গাছ কেটে ফেলার চিহ্ন স্পষ্ট। তার সঙ্গে কাটা হয়েছে একাধিক গাছের মোটা ডাল। একটি জাম গাছের গোড়াতেও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। গ্রামবাসীদের দাবি, গাছকাটা নিয়ে হইচই শুরু হতেই জামগাছটি অর্ধেক কেটে পালিয়ে যায় গাছ কাটতে আসা লোকজন। বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, স্বাস্থ্যকেন্দ্র আগে গাছগাছালিতে ভরা ছিল। সেটা এখন কার্যত ফাঁকা মাঠ। যেখানে পরিবেশ বাঁচাতে এত গাছ লাগানো হচ্ছে, সেখানে বন দপ্তরের অনুমতি ছাড়া এই গাছ কেটে ফেলায় সরব হয়েছেন তাঁরা। এদিন তাঁরা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বিক্ষোভও দেখান। খবর পেয়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসেন অঞ্চল সভাপতি মহম্মদ মফিজউদ্দিন ও মৌলা বক্স। তাঁরা গ্রামবাসীদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। নিজেদের তৃণমূল কর্মী দাবি করে গ্রামবাসী শেখ নিজামউদ্দিন, হুমায়ুন কবিররা বলেন, অঞ্চল সভাপতি ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যার স্বামী ষড়যন্ত্র করে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভিতরে থাকা সরকারি গাছ কেটে পাচার করে দিয়েছেন। আমরা তৃণমূল করলেও আমাদের কথা গ্রাহ্য করেনি। চিকিৎসকও বলছেন আমি কিছু জানি না।
যদিও ওই দুই জনপ্রতিনিধি বলেন, স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভিতরে কেউ গবাদি পশু বাঁধতেন, কেউ ধান ঝেড়ে গোলা করতেন। এছাড়া পুরো ক্যাম্পাস ঝোপঝাড়ে ভর্তি ছিল। ফলে, চিকিৎসক আসতে চাইতেন না। চূড়ান্ত দূরাবস্থা ছিল। তাই স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নতির জন্য কিছুদিন আগে বিএমওইচের কাছে যাওয়া হয়েছিল। তাঁরা জানান, আগে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিবেশ ফিরিয়ে আনুন, তারপর চিকিৎসক যাবেন। সেইমতো পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যকেন্দ্র রং করা ছাড়াও চত্বর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে সীমানা বেড়া দিয়ে ঘেরা হয়। সেই বেড়া দিতেই কিছু গাছের ডাল কাটা হয়েছে। তবে, গোটা গাছ কারা কেটে নিয়ে গিয়েছে বলতে পারব না। কিন্তু ডাল কাটতে গেলে অনমুতি লাগে, সেটা জানা ছিল না। আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।
এদিন দু’পক্ষের বচসা চালকালীন কয়েকজন মেডিক্যাল অফিসারের কাছে এসে কেন এভাবে গাছ কাটা হল তা জানতে চান। চিকিৎসক সুদীপ্ত সিনহা বলেন, কিছুদিন ধরে পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উন্নয়নের কাজ চলছে। আমরা সকাল ৯টা থেকে দুপুর আড়াইটে পর্যন্ত আউটডোর করে চলে যাই। সেই সময় চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়েই আমাদের খেয়াল থাকে। ক্যাম্পাসে কী হচ্ছে সেটা বলতে পারব না। আর গাছ কাটার বিষয়টি সোমবারই জানতে পেরেছি। আমরা সেই কাটা অংশের ছবি পাঠিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে এনেছি। এবার যা ব্যবস্থা নেওয়ার তাঁরাই নেবেন।
ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ অভিজিৎ রায়চৌধুরী বলেন, এব্যাপারে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিস তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছে। যদিও তুম্বুনি রেঞ্জার সুষেন কর্মকার বলেন, থানা তো কোনও ব্যবস্থা নিতে পারবে না। ওই স্বাস্থ্যকর্তার উচিত ছিল বন দপ্তরে জানানো।