কর্মরতদের সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা ও ব্যবহারে সংযত থাকা দরকার। ... বিশদ
এক মৎস্যজীবী বলেন, যাঁরা নদীতে মাছ ধরতে যান তাঁরা আর্ন্তজাতিক সীমানা বুঝতে পারেনা। তবে কেউই কোনও দেশের খুব বেশি ভিতরে চলে যায় না। সীমানা অতিক্রম করলে বিএসফ বা বিজিবি সতর্ক করে ছেড়ে দিত। কিন্তু যা হল তাতে নদীতে নামতেই ভয় হচ্ছে। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ জলঙ্গির এক মৎস্যজীবীকে আটক করে। তাঁর মুক্তির জন্য বিএসএফ ফ্ল্যাগ মিটিং করতে গেলে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী গুলি চালায়। তাতে এক বিএসএফ জওয়ান প্রাণ হারান। আর এক বিএসএফ কর্মী আহত হয়েছেন। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা করানো হয়।
এদিকে, এদিন জলঙ্গির শিরচরে গ্রামে যান বিএসএফের পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের এডিজি সঞ্জীব সিং। তিনি সেখানকার বাসিন্দা ও মৎস্যজীবীদের সঙ্গে কথা বলেন। বিগত দু’-তিনদিনের পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট গ্রামের বাসিন্দারা ভীত হয়ে রয়েছেন। মৎস্যজীবীরাও পদ্মা নদীতে মাছ ধরতে যাচ্ছেন না। এদিন বিএসএফের ওই কর্তা তাঁদের পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করেন। পরে তিনি বলেন, যে ঘটনা ঘটেছে, তা সম্পূর্ণ অনাকাঙ্খিত। এর আগে মৎস্যজীবীরা সীমান্ত পেরিয়ে এপার-ওপারে চলে গেলে দু’পক্ষই ফ্ল্যাগ মিটিং করে, সেই মৎস্যজীবীদের ফেরানোর ব্যবস্থা করেছে। সেকারণেই বিএসএফ আত্মবিশ্বাসী ছিল। কিন্তু এভাবে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী গুলি চালিয়ে দেবে, তা এখন বিশ্বাস করা যাচ্ছে না। এদিন ওই বিএসএফ কর্তা কাকমারিচরের ওই আউটপোস্টেও গিয়ে জওয়ানদের সঙ্গে কথা বলেন। ঘটনার দিন কী কী হয়েছিল, তাঁদের সঙ্গে বৈঠকে বসে বোঝার চেষ্টা করেন। সঞ্জীব সিংয়ের কথায়, বিজিবি এবং বিএসএফ একসঙ্গে এত কাজ করেছ, সীমান্ত সুরক্ষায় এত পদক্ষেপ করেছে, তাতে এভাবে গুলি চলার ঘটনাটি কোনওরকম বাস্তবতা পাওয়া যাচ্ছে না। এবার থেকে আমাদের অনেক বেশি করে সতর্ক থাকতে হবে। বিজিবি’র কর্তারা আমাদের জানিয়েছেন, তদন্ত শুরু হয়েছে। কিন্তু একজন জওয়ান যেভাবে শহিদ হয়েছেন, তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।