সংবাদদাতা, শান্তিনিকেতন: পৌষমেলা নিয়ে অনিশ্চয়তার মেঘ কার্যত কেটে গেল। শনিবার বিশ্বভারতী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট, বিশ্বভারতী আধিকারিক সহ উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী ও বিশ্বভারতীর কর্মী পরিষদ মেলা নিয়ে বৈঠকে বসেন। তাতে সিদ্ধান্ত হয় বিগত বছরের মতো একইভাবে পৌষমেলা করা হবে। পৌষমেলায় মাত্রাতিরিক্ত দূষণ হচ্ছে। সেই অভিযোগ তুলে পরিবেশ আদালতে মামলা করেছিলেন পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত। যার শুনানি এখনও চলছে। মামলা চলাকালীন গত জুন মাসের ৪ তারিখ বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ নোটিস জারি করে জানিয়ে দেয় তারা মেলা করতে অক্ষম। তারপর থেকেই আদৌ পৌষমেলা হবে কি না সেই নিয়ে প্রশ্ন চিহ্ন দেখা দিয়েছিল। এদিনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে এবছর থেকে স্টল বণ্টন সহ মেলার যাবতীয় কর্মকাণ্ড অনলাইনে করা হবে। সমস্ত ধরনের টাকার লেনদেন অনলাইনের মাধ্যমে করা হবে। এছাড়াও বিগত বছর থেকে শিক্ষা নিয়ে আরও পরিবেশবান্ধব পৌষমেলা করার অঙ্গীকার নেওয়া হয়েছে। তবে, পরিবেশ আদালত মেলা নিয়ে কী রায় দেন সেদিকেও তাকিয়ে রয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সদস্য অনিল কোনার বলেন, এদিনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় পৌষমেলা হবেই। দূষণের কথা মাথায় রেখে যথাসম্ভব দূষণমুক্ত মেলা হবে। অন্যান্য বছরের থেকে আরও পরিসর বৃদ্ধি করা হবে। যাতে মেলায় আসা দর্শকদের অসুবিধায় পড়তে না হয়। বিগত বছরের মেলার যে নকশা রয়েছে তার বিভিন্নরকম বদল আনা হবে।
বিশ্বভারতীর জনসংযোগ আধিকারিক অনির্বাণ সরকার বলেন, পৌষমেলা নিয়ে প্রাথমিকস্তরে আলোচনা করা হল। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সমস্ত ধরনের লেনদেন অনলাইনে করা হবে। সমস্ত ধরনের টেন্ডারও ই-টেন্ডারিংয়ের মাধ্যমেই করা হবে। আগামীতে যে বৈঠক হবে সেখানে মেলার নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে। এখন আমরা পরিবেশ আদালতের রায়ের অপেক্ষায় রয়েছি। কিন্তু, বিশ্বভারতী পরিবার মেলার জন্য সম্পূর্ণরূপে তৈরি।