কর্মরতদের সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা ও ব্যবহারে সংযত থাকা দরকার। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, খুজুটিপারা গ্রামের বিবাহিত যুবক বিজয় নাথের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন গ্রামেরই এক বিবাহিত মহিলা। সেই মহিলা ২০১১ সালে দুই পুত্রসন্তানকে ফেলে রেখে অন্য পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে লিপ্ত হয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। পরের বছর ফিরে এসে ফের সংসার শুরু করেন। বিগত কয়েকমাস থেকে ওই মহিলা ফের এই যুবকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন বলে অভিযোগ। কিন্তু, কোনও কারণে তাঁদের এই সম্পর্কের মধ্যে ফাটল ধরে। দু’জনের মধ্যে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। যার জেরে গত বৃহস্পতিবার ওই যুবক বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেন। এই ঘটনায় গ্রামে শুক্রবার সালিশি সভা বসানো হয়। সেই সালিশি সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গৃহবধূকে বেধড়ক মারধর করা করা। পরে গ্রামের মহিলারা তাঁকে বিবস্ত্র করে গ্রাম ঘোড়ান। এমনকী, গ্রামের মূল রাস্তা দিয়েও বিবস্ত্র অবস্থায় মহিলাকে নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। খবর পেয়ে নানুর থানার পুলিস গিয়ে ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে। প্রথমে তাকে খুজুটিপাড়া পুলিস ক্যাম্পে রাখা হয়। পরে ওই মহিলাকে নানুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। অন্যদিকে যুবকের পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ ওই মহিলা সঙ্গে বিষ মিশিয়ে খাইয়ে দিয়ে তাঁকে খুন করেছে। যদিও নানুর থানায় এবিষয়ে কোনও লিখিত অভিযোগ করা হয়নি বলে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে।
মৃত যুবকের স্ত্রী বলেন, আমার স্বামীর সঙ্গে ওই মহিলার অবৈধ সম্পর্ক ছিল। সে আমার স্বামীর থেকে টাকা পয়সা দাবি করছিল। আগেও টাকা পয়সা নিয়েছে। আবার টাকা পয়সা চাওয়ায় আমার স্বামী সেটা দিতে অস্বীকার করায় অন্য ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ার কথা বলে মহিলা। সেই কথা সহ্য করতে না পেরে বিষ খেয়ে ফেলে সে। হাসপাতালে মারা যাওয়ার আগে এই সমস্ত কথা সে আমাকে বলে যায়।
যে মহিলার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি জানিয়েছেন, ওই যুবকের সঙ্গে একটা সম্পর্কে তিনি জড়িয়ে পড়েন। পরে সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাইলেও সে শুনতে চাইছিল না। তারপরে কীভাবে সে মারা গিয়েছে তা তিনি জানেন না।