কর্মরতদের সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা ও ব্যবহারে সংযত থাকা দরকার। ... বিশদ
বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম প্রধান বলেন, এধরনের অভিযোগ হয়ে থাকলে আমরা নিশ্চয়ই বিষয়টি তদন্ত করে দেখব। তদন্তে কারও অভিযোগ প্রমাণিত হলে আমরা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁকুড়া থানার কাঞ্চনপুরের বাসিন্দা সৌরভ রায় স্থানীয় হাইস্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র। দিন দু’য়েক আগে থেকে জ্বর হলে তা না কমায় পরিবারের লোকজন ১৭অক্টোবর সৌরভকে কাঞ্চনপুর স্থাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে দেখার পর তাকে দ্রুত রক্ত দিতে হবে বলে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে। সেইমতো পরিবারের লোকজন সৌরভকে নিয়ে দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে হাজির হন। মৃতের কাকা অসিত রায়ের দাবি, চিকিৎসকরা দেখার পর ভাইপোকে দ্রুত রক্ত দেওয়ার জন্য বলেন। সেইমতো আমরা ওইদিন রক্ত জোগাড় করে বিকাল ৩টে নাগাদ নার্সদের হাতে তা তুলে দিই। কিন্তু, তারপর একটা গোটা দিনে কেটে গেলেও নার্স বা চিকিৎসকরা ভাইপোকে রক্ত দেননি। আমরা বেশ কয়েকবার বিষয়টি নার্সদের বলি। তাতে ওঁরা বিরক্ত হয়ে উল্টে আমাদের সঙ্গেই খারাপ ব্যবহার করেন। এরপর ১৮ তারিখ রাতে চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করে রক্ত না দেওয়ার কথা জানানোর পর নার্সরা রক্ত দিতে শুরু করেন। এরপর রাত ১টা নাগাদ আমার ভাইপোর মৃত্যু হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণেই আমার ভাইপোর মৃত্যু হয়েছে। অসিতবাবু বলেন, আমাদের তো যা ক্ষতি হওয়ার হয়ে গিয়েছে। ভবিষ্যতে আর কাউকে যাতে এধরনের ঘটনার মুখে পড়তে না হয় সেজন্যই আমরা চাই, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ঘটনার যথাযথ তদন্ত করে অভিযুক্তদের শাস্তির ব্যবস্থা করুক।