কর্মরতদের সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা ও ব্যবহারে সংযত থাকা দরকার। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় খড়্গপুর বিধানসভার আসনটি খালি হয়। নিয়ম মতো আগামী নভেম্বর মাসে এই কেন্দ্রের উপ নির্বাচন হওয়ার কথা। দু-একদিনের মধ্যে নির্বাচনের দিন ঘোষণা হয়ে যাওয়ার কথা। ফলে সব দলেই তৎপরতা শুরু হয়ে গিয়েছে। কংগ্রেস তাদের প্রার্থী চূড়ান্ত করে ফেলেছে। দিলীপবাবু বলেছেন, নির্বাচনের দিন ঘোষণা হলেই প্রার্থী ঘোষণা হয়ে যাবে। এদিকে কংগ্রেস প্রার্থীকেই সমর্থন করবে সিপিএম। তৃণমূলের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে প্রাক্তন সংসদ সদস্য দীনেশ ত্রিবেদীর নাম উঠে এসেছে। পাশাপাশি স্থানীয় প্রার্থী নিয়েও আলোচনা চলছে।
এদিকে, বাইরের প্রার্থীর নাম উঠতেই স্থানীয় প্রার্থীর দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন অনেকে। বৃহস্পতিবার রাতে চেয়ারম্যান ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলারদের এক বৈঠকে ডাকা হয়েছিল। সেখানে খাওয়া দাওয়ারও ব্যবস্থা ছিল। সেখানেই স্থানীয় প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যানের নাম নিয়ে আলোচনা হয়। পরে উপস্থিত সবাই সেই প্রস্তাবে স্বাক্ষর করেন। যাঁরা আসতে পারেননি, সেই রাতেই তাঁদের বাড়ি গিয়ে সই করানো হয়।
কাউন্সিলার কল্যাণী ঘোষের অভিযোগ, তাঁকে জোর করে সই করানো হয়েছে। তিনি বলেন, রাতে কয়েকজন কাউন্সিলার বাড়িতে এসে ছিলেন। একটি কাগজে সই করতে বলেন। আমি পরের দিন সই করব বলায় ঘরে ঢুকে এক প্রকার জোর করেই আমাকে সই করানো হয়। আমি বিষয়টি এসএমএস করে শুভেন্দুবাবুকে জানিয়েছি। কাউন্সিলার সিআইসি সদস্য তৈমুর আলি খান বলেন, বাইরের প্রার্থী না দিয়ে স্থানীয় প্রার্থী দেওয়ার বিষয়ে একটা প্রস্তাব নেওয়া হয়। তাতে ১৯ জন কাউন্সিলার সই করেছেন। চেয়ারম্যান প্রার্থী হলে ভালো হয় বলে বিবেচনা করার আবেদন করা হয়েছে। আর এক কাউন্সিলার সরিতা ঝা বলেন, স্থানীয় প্রার্থী দিলে ভালো হয় বলে আমরা সেদিন একটা অলোচনা করি। তবে দল যাঁকে প্রার্থী করবে তাঁর হয়েই আমরা কাজ করব।
চেয়ারম্যান বলেন, কাউন্সিলারদের মধ্যে স্থানীয় প্রার্থী নিয়ে একটা অলোচনা হয়েছে শুনেছি। বেশিরভাগ কাউন্সিলারই স্থানীয় প্রার্থী চাইছেন। তবে সই করে কোথাও পাঠানো হয়েছে কিনা আমার জানা নেই। রবিবাবু বলেন, আমাদের দলে নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই সব। তিনি যা সিদ্ধান্ত নেবেন সেটাই চূড়ান্ত। খড়্গপুরটা যখন শুভেন্দুবাবু দেখছেন। পর্যবেক্ষকরা আছেন। আরও অনেকে পর্যবেক্ষণ করছেন। তখন এভাবে স্থানীয় প্রার্থীর দাবিতে কোনও উদ্যোগ নেওয়াটা সঠিক হয়নি।