বিদ্যার্থীদের মানসিক উদ্বেগ বৃদ্ধি পাবে। পঠন-পাঠনে আগ্রহ কম থাকবে। কর্মলাভের সম্ভাবনা আছে। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর সাতেক আগে জাকির শেখের সঙ্গে গঙ্গাপ্রসাদ গ্রামের ফরিদার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই নানা কারণে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি চলছিল। ফরিদাকে বাপেরবাড়ি থেকে জিনিসপত্র ও টাকা আনার জন্য চাপ দেওয়া হতো। চাহিদামতো স্বামীর দাবি মেটানোর চেষ্টা করতেন ফরিদা। দাবি না মানা হলে ফরিদাকে মারধর করা হতো বলে অভিযোগ। অশান্তির জেরে শেষপর্যন্ত এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে বাপেরবাড়ি চলে আসেন ফরিদা। সপ্তাহ দু’য়েক আগে দুই বাড়ির লোকজন আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করে। জাকির কথা দেয়, সে আর বউয়ের উপর অত্যাচার করবে না। তাই আবার শ্বশুরবাড়ি যান ফরিদা। কিন্তু, তিনদিনের মাথায় ফের অশান্তি হয়। টাকার জন্য চাপ দেওয়া হয়। অভিযোগ, দাবি না মানলে কাটারি দিয়ে ফরিদার মাথা ফাটিয়ে দেয় জাকির। মাথায় দশটা সেলাই হয়। ছেলে মেয়েকে নিয়ে ফের বাপেরবাড়িতে চলে আসেন ফরিদা।
এরপর গতকাল গভীর রাতে শ্বশুরবাড়ি চড়াও হয়ে জাকির ঘরের ফুটো দিয়ে পেট্রল ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। ফরিদা তাঁর দুই ছেলে মেয়ে ও দুই বোন শুকতারা খাতুন (১৩), স্মিতা খাতুন (১৫) নিয়ে ঘরে শুয়েছিলেন। ঘুমন্ত অবস্থায় সকলকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করে জাকির। ঘটনায় সকলেই মারাত্মকভাবে দগ্ধ হয়েছেন। ফরিদার ভাই সাদিকুল শেখ বলেন, বিয়ের পর থেকেই জামাইবাবু মদ খেয়ে এসে দিদিকে প্রায়শই মারধর করত। জুয়ায় হেরে গিয়ে টাকা আনার জন্য দিদিকে চাপ দিত। ঘটনা নিয়ে আমরা পুলিসে অভিযোগ জানিয়েছি।
লক্ষ্মীজোলা অঞ্চলের প্রধান মানোয়ারা বিবির স্বামী আনিকুল ইসলাম বলেন, গত রাতে এমন কাণ্ড ঘটেছে। গ্রামবাসীরা চেষ্টা করেও জাকিরকে ধরতে পারেনি। জঙ্গিপুর পুলিস ফাঁড়ির এসআই শুভেন্দু সাহা বলেন, অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।