দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় থেকে অর্থাগম ও পুনঃ সঞ্চয়। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি বা নতুন কর্ম লাভের সম্ভাবনা। মন ... বিশদ
প্রসঙ্গত, ফাঁসিদেওয়া ব্লকের হেটমুড়ি সিঙিঝোরা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত তারাবান্ধার অন্তুগছে লচকা নদীর জেগে ওঠা চর দখলের অভিযোগ উঠেছিল। এরপর তদন্তে নামে প্রশাসন। তাতেই নদীর জেগে ওঠা চর দখলের বিষয়টি উঠে আসে। এরপরে নড়েচড়ে বসে ব্লক প্রশাসন। এদিন ওই এলাকার প্রায় দুই একর জমিতে দু’টি সরকারি বোর্ড লাগিয়ে দিয়েছেন প্রশাসনের কর্তারা। এনিয়ে ভূমিদপ্তরের ফাঁসিদেওয়ার বিশেষ রাজস্ব আধিকারিক অশোক পাল বলেন, উপর মহলের নির্দেশে এদিন সরকারি জমিতে বোর্ড লাগিয়ে দখল নেওয়া হল। এটি নদীর জেগে ওঠা চর। কে বা কারা দখল করেছিল তা নিয়ে পুলিস তদন্ত শুরু করেছে।
গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান জগন্নাথ রায় সরকারি জমি দখলের শংসাপত্র দেওয়ায় অস্বস্তিতে পড়ে ব্লক প্রশাসন। ফাঁসিদেওয়া বিডিও বিপ্লব বিশ্বাস বলেন, প্রধানকে সতর্ক করেছি। কেন তিনি এ ধরনের দখল শংসাপত্র ইস্যু করেছেন, সেটার জবাব চাওয়া হয়েছে। তা জানানোর পরে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।
প্রসঙ্গত, গত ৩১ জানুয়ারি ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূল কংগ্রেসের জগন্নাথ রায় স্থানীয় বাসিন্দা সিপেন সিংহের নামে দখল শংসাপত্র জারি করেন। যা নিয়েই ওঠে প্রশ্ন। উল্লেখ্য, ওই এলাকায় বাগডোগরা বিমানবন্দরকে কেন্দ্র করে দু’টি বেসরকারি হাউজিং কমপ্লেক্সের কাজ শুরু হয়েছে।
যদিও এদিন দখল শংসাপত্র পাওয়া সিপেন সিংহের মেয়ে রুমা সিংহ ঘটনাস্থলে ছিলেন। এনিয়ে রুমাদেবী বলেন, এটা আমাদের বাপ-ঠাকুরদার দখলে ছিল। পাট্টার জন্য আবেদন জানাতে গেলেও বিএলআরও অফিস ফিরিয়ে দিয়েছে। গ্রামে অনেক সরকারি জমি দখল হয়ে আছে। এটাও প্রশাসনের দেখা উচিত। যদিও এদিন প্রধানকে বহুবার ফোন করা হলেও রিসিভ করেননি। মেসেজেরও জবাব মেলেনি। - নিজস্ব চিত্র।