দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় থেকে অর্থাগম ও পুনঃ সঞ্চয়। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি বা নতুন কর্ম লাভের সম্ভাবনা। মন ... বিশদ
মাথাভাঙা-২ ব্লকে প্রেমেরডাঙা গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার তোর্সা নদীর চর এলাকায় ব্যাপক পরিমাণে আফিম চাষ হয়েছে। তবে পুলিস লাগাতার অভিযান চালিয়ে প্রচুর আফিম খেত নষ্ট করে দিয়েছে। তারপরও যে বিপুল পরিমাণ আফিম খেত রয়েছে, এদিনের অভিযানে তা স্পষ্ট। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, সদ্য আফিম গাছ থেকে আঠা সংগ্রহ করা হচ্ছে। সেই কাঁচা আফিম সংগ্রহ করছে স্বপন মণ্ডল ও তার সাগরেদরা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এলাকায় দাপট দেখিয়ে আফিম সংগ্রহ করে স্বপন মণ্ডল ও তার কয়েকজন সাগরেদ। যারা আফিমের আঠা দিনভর সংগ্রহ করছে, সন্ধ্যায় তাদের বাড়িতে গিয়ে নগদ টাকা দিয়ে তা নিয়ে আসা হয়। স্বপনের বাড়ি থেকে সেই আফিম নিয়ে যায় ভিনরাজ্যের মাদক কারবারিরা। এদিন রাতে এখবর পেয়ে অভিযুক্তের বাড়িতে তল্লাশি চালায় ঘোকসাডাঙা থানার পুলিস। ছিলেন মাথাভাঙার এসডিপিও সমরেন হালদার। পুলিস জানিয়েছে, আন্তঃ রাজ্য ও আন্তর্জাতিক মাদক পাচার চক্র এর সঙ্গে জড়িত কি না, সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নজরে রয়েছে এলাকার একাধিক ব্যক্তিও।
মাথাভাঙার অতিরিক্ত পুলিস সুপার সন্দীপ গড়াই বলেন, প্রেমেরডাঙার উত্তর ধলোগুড়ির একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৯ কেজি ৮০০ গ্রাম কাঁচা আফিম ও নগদ ৩৩ লক্ষ ৪৪ হাজার ৭৬০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। কাঁচা আফিমের মূল্য প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা। প্রাথমিকভাবে ধৃত ব্যক্তি জানিয়েছে, ভিনরাজ্যের একটি চক্র কাঁচা আফিম নিয়ে যেত। আফিম কেনার জন্যই এই টাকা মজুত করা হয়েছিল। আর কারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। - নিজস্ব চিত্র।