দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় থেকে অর্থাগম ও পুনঃ সঞ্চয়। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি বা নতুন কর্ম লাভের সম্ভাবনা। মন ... বিশদ
কোচবিহার এমজেএন মেডিক্যাল কলেজের সুপার ডাঃ সৌরদীপ রায় বৃহস্পতিবার বলেন, অজ্ঞান না করে এই ধরনের অস্ত্রোপচার কোচবিহার মেডিক্যালে এই প্রথম হল। অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে। আমরা খুশি। আগামী দিনে এখানে এই ধরনের অস্ত্রোপচার এখানে আরও বেশি করার পথ সুগম হল।
কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজের অ্যানাস্থেসিওলজি বিভাগের অ্যাসিস্টেন্ট প্রফেসর ডাঃ রাজদীপ হাজরা বলেন, ওই রোগী গত ২৫ ফেব্রুয়ারি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হন। তিনি ব্রেস্ট ক্যান্সারের রোগী। এই ধরনের অস্ত্রোপচার করতে গেলে সাধারণত অজ্ঞান করেই করা হতো। এই প্রথম কোচবিহার মেডিক্যাল ও সম্ভবত কোচবিহার জেলাতেও অজ্ঞান না করেই অস্ত্রোপচার করা হল। এতে আগামী দিনে রোগীর বেশকিছু সমস্যা কম হবে। এই ধরনের অস্ত্রোপচার বেসরকারি জায়গা থেকে করাতে গেলে দেড় থেজে দুই লক্ষ টাকা খরচ হয়। যা মেডিক্যাল কলেজে সম্পূর্ণ বিনা খরচে হয়েছে।
অনেক চলচ্চিত্র বা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের অস্ত্রপচারের ভিডিও ফুটেজে দেখা যায় রোগীর জটিল অস্ত্রোপচার হচ্ছে অথচ রোগী দিব্য কথা বলছেন। তাঁর জ্ঞান রয়েছে। কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজের এই অস্ত্রোপচারের ক্ষেত্রে সেই দৃশ্যই দেখা গিয়েছে। অস্ত্রোপচারের সময় রোগীর সঙ্গে চিকিৎসক কথা বলছেন। রোগীর জ্ঞান রয়েছে। রোগীর যাতে ফুসফুসে সংক্রমণ না হয়, গলায় কফ থাকলে অনেক সময় অস্ত্রোপচারের ক্ষেত্রে অজ্ঞানের সমস্যা দেখা দেয়। সেই সব দিক বিচার করেই এই পদ্ধতিতে অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। সেই অস্ত্রোপচার সফল হওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই খুশির হাওয়া ছড়িয়েছে মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক ও কর্মী মহলে। এর আগেও বেশকিছু জটিল শল্য চিকিৎসার অস্ত্রোপচার কোচবিহার মেডিক্যালে হয়েছে। মেরুদণ্ডের অস্ত্রোপচার, হাঁটুর জটিল অস্ত্রোপচার এখানে হয়েছে। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই কোচবিহারের মেডিক্যালের উন্নত চিকিৎসা পরিষেবায় বহু সাধারণ মানুষ উপকৃত হচ্ছে। -ফাইল চিত্র।