দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় থেকে অর্থাগম ও পুনঃ সঞ্চয়। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি বা নতুন কর্ম লাভের সম্ভাবনা। মন ... বিশদ
পুলিস সূত্রে খবর, বড়ুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কুরিয়াল এলাকার বাসিন্দা বছর বত্রিশের বচ্চন প্রসাদ। সর্বসমক্ষে পেশায় শ্রমিক বলে পরিচয় দিলেও অসামাজিক কাজে বচ্চন ধীরে ধীরে কুখ্যাত হয়ে উঠেছে। রায়গঞ্জ থানাতে এর আগেও একটি জমি বিবাদ মামলায় বচ্চনের নাম জড়িয়েছে। এছাড়াও ইটাহার থানায় ভুটভুটি চুরির ঘটনায় তার নাম উঠে আসে। তদন্তকারীদের কথায়, বচ্চন ‘পুরনো খিলাড়ি’। সে এই অপহরণকাণ্ডের মূল ভিলেন। গত মঙ্গলবার সকালে একটি চাঞ্চল্যকর অপহরণের ঘটনায় নাম জড়ায় বচ্চনের। অভিযোগ, বড়ুয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ওষুধ ব্যবসায়ী আলিফ মহম্মদকে সে একটি বাইক সমেত অপহরণ করে। এতেই ক্ষান্ত থাকেনি বচ্চন। অপহরণের পর আলিফ মহম্মদের ফোন থেকেই তাঁর স্ত্রীকে কল করে ২০ হাজার টাকা মুক্তিপণ চায়। বলে মুক্তিপণ দিলে তবেই আলিফ ছাড়া পাবে। নাহলে আলিফের ধড়ে প্রাণ থাকবে না। যার অডিও রেকর্ডও পুলিস সংগ্রহ করেছে। পুলিস জানিয়েছে, বচ্চন একা নয়, ওর আরও কয়েকজন শাগরেদ রয়েছে। যাদের সঙ্গে নিয়েই সে ওষুধের ব্যবসায়ীকে অপহরণ করেছিল। ওই ব্যবসায়ী ফিরে এলেও এখনও পুলিস তাঁর বাইকটির হদিশ পায়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মারিয়া এলাকার বাসিন্দাদের বক্তব্য, বচ্চন ধরা পড়লেও তার সঙ্গীরা এখনও পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তাই আতঙ্ক কাটেনি। বচ্চন ও তার সঙ্গীরা এলাকায় দিনদুপুরে ঝামেলা করে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ভয় দেখাতো। ওর সঙ্গীরাও ভয়ানক। ওরা রীতিমতো একটা গ্যাং চালাতো। যতক্ষণ না সকলে ধরা পড়ছে, মানুষজনের মধ্যে আতঙ্ক থাকবে। যদিও রায়গঞ্জ থানার আইসি বিশ্বাশ্রয় সরকার বলেন, বচ্চনকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিস। ওই ঘটনায় বাকি জড়িতদেরও খোঁজ চলছে।
(রায়গঞ্জ থানায় বচ্চনের নামে অভিযোগ গ্রামবাসীদের। - ফাইল চিত্র।)