দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় থেকে অর্থাগম ও পুনঃ সঞ্চয়। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি বা নতুন কর্ম লাভের সম্ভাবনা। মন ... বিশদ
ঘটনাটি রায়গঞ্জ শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সুদর্শনপুর এলাকার দ্বারিকাপ্রসাদ জিএসএফপি স্কুলের। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটার পর স্কুলে মিড ডে মিলের কর্মীরা এসে দেখেন রান্নাঘরের দরজা খোলা। দরজার পাশে তালা ভাঙা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ভিতরে ঢুকে দেখা যায় মিড ডে মিল রান্নার হাঁড়ি, ডেচকি সহ রান্নার অন্যান্য সরঞ্জাম খোয়া গিয়েছে। স্পষ্ট হয়ে যায় শিবরাত্রির ছুটির সুযোগ নিয়েই স্কুলে ঢুকে তান্ডব করেছে চোর। চুরির ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসেন স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সহ অন্য শিক্ষকরা।
অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রায়গঞ্জ থানার সাদা পোশাকের পুলিস। কিন্তু এসবের মাঝে বিপাকে পড়ে যায় স্কুল কর্তৃপক্ষ। কারণ স্কুলে সর্বমোট ছাত্রছাত্রী সংখ্যা ৩৯৪ জন। তাই ভেবেচিন্তে রান্নার মেনু ঠিক করা হয়। অল্পবাসনে রান্নার প্রস্তুতি নেওয়া হয়। মিড ডে মিলের জন্য শেষে রান্না হয় খিচুড়ি ও পাপড় ভাজা। তাই এদিন পড়ুয়াদের খাওয়ানো হয়। কিন্তু ওই সাময়িক সমস্যা মিটলেও চুরি নিয়ে উদ্বেগ বেড়ে গেল স্কুল কর্তৃপক্ষের। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা শ্রাবণী রায় বলেন, এদিন সকাল দশটার পর স্কুল খুলতে গিয়ে দেখা গেল রান্নাঘর থেকে তিনটে হাঁড়ি, দুটো বালতি, দুটো ডেচকি চুরি গিয়েছে। রান্না ঘরের তালা ভেঙে এই কাণ্ড ঘটানো হয়েছে। এর আগে ২১ ফেব্রুয়ারির স্কুলের আরেকটি ঘরের তালা ভেঙে হাঁড়ি, কড়া, হাতা, খুন্তি চুরি যায়। পুলিস সেসময়ও তদন্ত করেছে। কিন্তু তারপরও ফের চুরি হল। এসব ঘটনায় আমরা যথেষ্ট বীতশ্রদ্ধ। আমরা এদিন রায়গঞ্জ থানায় ও রায়গঞ্জ পুরসভায় বিষয়টি জানিয়েছি।
প্রধান শিক্ষিকার সংযোজন, আমাদের এখন চিন্তা পড়ুয়াদের রান্না করে খাওয়াবো কীভাবে। এদিন যা পরিস্থিতি হয়েছিল, তাতে মিড ডে মিল প্রায় বন্ধের উপক্রম হয়। একটা কড়াই, একটা বালতি অবশিষ্ট রয়েছে। তাই দিয়েই এদিন কোনওরকমে খিচুড়ি, পাপড় ভাজা করা হয়। যদিও এদিন ডিমের ঝোল আর ভাত ছিল মেনুতে। বাসনের অভাবে তা করা যায়নি।
স্কুলের মিড ডে মিল কর্মী দুলালি দাস ও পম্পা সরকাররা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, এলাকায় নেশাগ্রস্তদের উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় বারবার চুরির ঘটনা ঘটছে।এনিয়ে স্কুলে গত কয়েকমাসে ৪ বার চুরি হল। রায়গঞ্জ থানার আইসি বিশ্বাশ্রয় সরকার বলেন, তদন্ত শুরু হয়েছে। - নিজস্ব চিত্র।