আয় বৃদ্ধি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। কর্মস্থলে সাফল্য ও প্রশংসা লাভের সম্ভাবনা। শরীর-স্বাস্থ্য বুঝে চলুন। ... বিশদ
দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ডের অধীনে থাকা এসব মন্দিরের পুজোয় সুপ্রাচীন কাল থেকে বলি প্রথার প্রচলন রয়েছে। বড়দেবী, কাঠামিয়া মন্দির, গোসানিমারি মন্দিরে আজও অষ্টমীর দিন মহিষ বলি দেওয়া হয়। সেইসঙ্গে অন্য মন্দিরগুলিতেও পাঁঠা ও পায়রা বলির রীতি রয়েছে। বড়দেবীর মন্দিরে সরকারি খরচে বেশকিছু পাঁঠা বলির পাশাপাশি সাধারণ মানুষের দেওয়া শতাধিক পাঁঠা ও দেড় হাজারেও বেশি পায়রা বলি হয়। সব জায়গাতেই পুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে।
মদনমোহন মন্দিরের কর্মী জয়ন্ত চক্রবর্তী বলেন, এবার দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ডের অধীনে থাকা মন্দিরগুলিতে পুজোর মোট বাজেট ৬ লক্ষ ৯৬ হাজার টাকা। বড়দেবীর মন্দির সহ মদনমোহন মন্দিরে থাকা কাঠামিয়া মন্দির, গোসানিমারি মন্দিরে অন্য বছরগুলির মতো এবারও মহিষ বলি হবে। এছাড়াও বাকি সব মন্দিরে পাঁঠা ও পায়রা বলির রীতি যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। এবারও অন্যথা হবে না।
কোচবিহার দেবীবাড়িতে বড়দেবীর প্রতিমা বানানো হয় মন্দিরেই। কাঠামিয়া ও ষাণ্ডেশ্বর মন্দিরের প্রতিমা বানানো হচ্ছে গুঞ্জবাড়িতে। বাণেশ্বর মন্দিরের প্রতিমা সেখানেই হচ্ছে। বড়দেবীর মন্দিরে মহিষ বলির পাশাপাশি সরকারি খরচে ১০-১২টি পাঁঠা বলি প্রতিবছরই হয়। বহু ভক্ত এই মন্দিরে মানত করেন। তাঁদের অনেকেই বলি দেওয়ার জন্য পাঁঠা নিয়ে আসেন। প্রতিবছরই শতাধিক পাঁঠা বলি হয়। ৭০০-৮০০ জোড়া পায়রা এখানে বলি দেওয়া হয়। অনেকে আবার পায়রা উড়িয়ে দেন।
কাঠামিয়া মন্দিরে সরকারিভাবে চারটি পাঁঠা ও ২০টি পায়রা বলি হয়। ভক্তরা এখানেও ২৫-১৬টি পাঁঠা ও ১০-১২ জোড়া পায়রা আনেন। সেগুলিও বলি দেওয়া হয়। অন্যদিকে, গোসানিমারি মন্দিরে মহিষ বলির পাশাপাশি তিন দিনে তিনটি পাঁঠা, তিন জোড়া পায়রা বলি দেওয়া হয়। বাণেশ্বর মন্দিরে পায়রা, ষাণ্ডেশ্বর মন্দিরে অষ্টমিতে পাঁঠা ও অন্যদিন পায়রা বলি দেওয়া হয়।
এই বিরাট আয়োজনকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য আগে থেকেই উদ্যোগ নেওয়া হয়। এবারও সেই কাজ চলছে। বড়দেবীর প্রতিমা বানানোর জন্য ময়নাকাঠ মদনমোহন মন্দিরে নিয়ে আসা হয়েছে। গৃহারম্ভ পুজোও হয়ে গিয়েছে। যুগ যুগ ধরে এই সমস্ত নিয়মই অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে পালিত হয়ে আসছে। নিজস্ব চিত্র।